নেতাজিকে নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ রাজ্য সরকারের তরফে

নেতাজির ট্যাবলো বাতিল থেকে দ্বন্দ্ব লেগেই আছে রাজ্য কেন্দ্রের মাঝে। ইন্ডিয়া গেটে গত রবিবার ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের জন্মবার্ষিকীতে হলোগ্রাম মূর্তির অনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ৫০ বছর পর ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতি নিভিয়ে দেওয়া হয়। এই দুই ইস্যুতে এখন সরগরম দেশ। বাংলার শাসক দল তৃণমূল বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ এনেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে আলোকপাত করেন।

কুণাল প্রশ্ন তোলেন যে, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি সুভাষচন্দ্র বসুকে কেন দেওয়া হল না? এই প্রেক্ষিতেই তাঁর অভিযোগ, বাংলার কণ্ঠরোধ করতে চাইছে কেন্দ্র। ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। কুণাল আরও বলেন, স্বাধীন আজাদ হিন্দ সরকারের ঘোষণা করেছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। কিন্তু তাঁর সম্মানের জন্য, এবং তাঁর অন্তর্ধান রহস্যের সমাধানের জন্য কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ মোদী সরকার করেনি এতদিনেও। এদিকে আবার দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে অমর জওয়ান জ্যোতির অনির্বাণ শিখা নিভিয়ে দেওয়া নিয়ে বড় বিতর্ক জড়িয়েছে কেন্দ্র। যদিও তাদের দাবি যে ওই আগুন তারা নেভায়নি। তবে সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়েনি তৃণমূল। পাশাপাশি রয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলা নেতাজি ট্যাবলো বাদ দেওয়ার ঘটনা। সব নিয়ে ঝাঁঝাল আক্রমণ সহ্য করতে হচ্ছে কেন্দ্রকে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্র ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলার নেতাজির ট্যাবলো৷ প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতাজির জীবন আধারিত ট্যাবলো বাদের ঘটনায় মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে৷ এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি৷ কেন বাদ দেওয়া হল নেতাজি-ট্যাবলো? শুনানির সময় এ প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর বলেন, ‘‘নৌবিদ্রোহের সময় ভারতীয় সেনার সঙ্গেই জুড়ে গিয়েছিল নেতাজির তৈরি আজাদ হিন্দ ফৌজ৷ নৌবিদ্রহের সময় নিহত সেনাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ইতিমধ্যেই একটি ট্যাবলো তৈরি করা হয়েছে। সে কারণেই পৃথক করে নেতাজি-ট্যাবলো রাখা হয়নি৷’’