ক্রমশ জটিল হচ্ছে জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজ অব কমার্সের পরিস্থিতি

বার ডান্সার কান্ডে নয়া মোড়। এবার অধ্যাপক,অধ্যাপিকা দের DEFAMATION সংক্রান্ত উকিল নোটিশ পাঠালেন প্রিন্সিপালের আইনজীবী।ক্রমশ জটিল হচ্ছে জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজ অব কমার্সের পরিস্থিতি। বিরূপ মন্তব্য, সম্মানহানি, মানসিক হেনস্থা ইত্যাদির অভিযোগ তুলে অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের নোটিশ পাঠালেন অধ্যক্ষের আইনজীবী। যা নিয়ে ফের চাঞ্চল্য ছড়ালো শিক্ষানুরাগী মহলে।বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রিন্সিপাল তার চেম্বারে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের এই খবর দিয়ে তাদের হাতে উকিল নোটিশের কপি তুলে দেন প্রিন্সিপাল ডক্টর সিদ্ধার্থ সরকার।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে প্রিন্সিপাল ডক্টর সিদ্ধার্থ সরকার বলেন তার আইনজীবী আপাতত তিনজনকে DEFAMATION সংক্রান্ত আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। এই তিনজনের মধ্যে রয়েছেন বাংলার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর দেবাশীষ সিনহা মহাপাত্র, অধ্যাপিকা মৌমিতা সেনগুপ্ত, অধ্যাপক সব্যসাচী বোসকে আইনজীবী মারফত ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নোটিশ পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে মিডিয়া মারফৎ অথবা লিখিত ভাবে অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের ক্ষমা চাইতে হবে। নচেৎ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে।

অধ্যক্ষ আরও জানান, যেভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার নামে সম্মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে, তাতে কলেজের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। তাই তড়িঘড়ি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে, নোটিশ পাঠানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।আইনজীবীর নোটিশ প্রসঙ্গে অধ্যাপক দেবাশীষ সিনহা মহাপাত্র বলেন কলেজে একটা অচলাবস্থা উনি অনেকদিন ধরেই সৃষ্টি করে রেখেছেন। এটা সমস্ত কর্মীদের লড়াই। এখানে ব্যক্তিগতভাবে ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি নিচ্ছেন অধ্যক্ষ। আমরা আইন মেনে যৌথভাবেই এসবের মোকাবিলা করব। তিনি আরও বলেন আমরা তো চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।কলেজে দুর্নীতির পাহাড় জমেছে। স্পেশাল অডিট করানো হোক।