দুটি কারনে কমতে পারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম, মানতে নারাজ শাসকদল

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। বলা বাহুল্য বিগত ২০ দিনে ১৪ বার বেড়েছে পেট্রোলের দাম। কিন্তু কেন এই দাম বাড়ছে? সে বিষয়ই আজ আমরা তুলে ধরব এই প্রতিবেদনে। মূলত, দীপাবলির সময় সেন্ট্রাল এক্সসাইজ ডিউটি বা কেন্দ্রীয় শুল্কে কিছুটা কাটছাঁট করার পরে ২২ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত টানা ১৩৮ দিন পেট্রোলের দাম না বাড়লেও মার্চের মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকে। যেকারনে ৭৭ ডলার থেকে বাড়তে বাড়তে ১০২ ডলার হয়। ৯ মার্চ তা দাঁড়ায় ১২৮ ডলারে। এর মধ্যে ডলারের নিরিখে টাকার দাম পড়তে থাকে।

ডলারপিছু টাকার মূল্য ৭৪.৫১ টাকা থেকে ৭৫.৮১ টাকা হয়। এরপরেই ৫ রাজ্যের ভোট মিটতে ঊর্ধ্বশ্বাসে বাড়তে থাকে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম।এদিকে অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীয় শুল্ক যখন কমানো হয়েছিল, সেই নভেম্বর ৪, ২০২১-এ অপরিশোধিত তেলের দাম ৮০ ডলারের আশেপাশে ছিল। এখন তা ১০০ ডলারের উপর, এটা যেমন সত্যি, তেমনই এটাও অনস্বীকার্য যে, মার্চের বিভিন্ন সময়ে তা বাড়তে বাড়তে ১১৭ ডলার বা ১২৮ ডলার ব্যারেলপিছু দামে পৌঁছেছিল, বর্তমানে সেই সর্বোচ্চ মূল্যের কিঞ্চিৎ নিচে ব্যারেলপিছু অপরিশোধিত তেলের দাম, একই সঙ্গে বিনিময় হারের ক্ষেত্রেও ভারতীয় টাকা একটু হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ৭৫ টাকা ৮১ পয়সা থেকে ডলার-প্রতি ৭৫ টাকা ৬০ পয়সা হয়েছে।

এই দুটি অর্থনীতিক কারণে তেলের দামে খানিকটা লাগাম পড়লেও পড়তে পারে। তবে রাজ্যের শাসক দলেরা দাবি করছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলে তার সুফল আম-জনতার কাছে পৌঁছতে দেয়নি যে সরকার, মুনাফা লোভী ‘বেওসায়ি’র মতো স্রেফ নিজের আখেরের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় শুল্ক বাড়িয়ে গিয়েছে, সেই সরকার এখন এই অবস্থাতেও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপিছু অপরিশোধিত তেলের দামে পতন ও টাকার মূল্যের অধোগতি থেকে কিঞ্চিৎ ঊর্ধ্বমুখী হওয়া— এই যুগ্ম কারণের ইতিবাচক প্রভাব জনতার কাছে পৌঁছতে দেবেন, এমন আশা নিছকই দুরাশামাত্র।