বারংবার রাজ্য সরকারের সাথে রাজ্যপালের সংঘাত লেগেছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের তরফে। এই মুহূর্তে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত উঠেছে চরমে। সম্প্রতি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন জগদীপ ধনকড়। বাংলার আইন-শৃঙ্খলা এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতার সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সমর্থন করেছে বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু সরকারের তরফে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের প্রবল সমালোচনা করে আক্রমণ শানান। এদিকে আজ আবার অসাংবিধানিক আচরণ হচ্ছে ব্দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল। সেই নিয়ে অন্য বিতর্ক। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। জগদীপ ধনখড়ের অপসারণ চেয়ে সংসদে প্রস্তাব আনতে চলেছেন তাঁরা।
এদিন কালীঘাটে বসেছিল তৃণমূল সাংসদদের বৈঠক। সেই বৈঠকে ঠিক হয় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে তারা এবং এই গোটা বিষয়টিকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলার রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। মনে হচ্ছে, রাজ্যপালকে রাজ্য সরকারকে বিব্রত করার নির্দেশ দিয়েই পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট রোড ম্যাপ মান্য করে কাজ করছেন তিনি, এই জিনিস হতে পারে না। এর আগেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় ফল কিছু পাওয় যায়নি। তবে এবার আরও আটোসাটোভাবে ময়দানে নামছে তারা জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে অসাংবিধানিক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল।
জানিয়েছেন, রাজ্যের কাছে নানা বিষয়ে তথ্য চেয়েও পাচ্ছেন না তিনি। রাজ্যপালের দাবি, সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনি কোনও তথ্য চাইলে, সে বিষয়ে তাঁকে অবহিত করা রাজ্য সরকারের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা পালন করা হচ্ছে না। একাধিক তথ্য চাইলেও তিনি তা পাচ্ছেন না বা তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি স্পষ্ট লিখেছেন, রাজ্যপাল কোনও তথ্য চাইলে তাঁকে সরকার সেটা দিতে বাধ্য। কোনও তথ্য রাজ্য সরকার রাজ্যপালের কাছ থেকে আড়াল করতে পারে না।