লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ এই পরিস্থিতিতে দার্জিলিঙে আস্থাভোটের দিনই বড় ধাক্কা তৃণমূলের৷ শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দল ছাড়লেন প্রাক্তন জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং৷ আজ থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছেন বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি৷
পাহাড়ের রাজনীতি যখন অন্যদিকে বাঁক নিচ্ছিল, সেই সময় নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে৷ জিটিএ নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়েছিলেন বিনয় তামাং এবংতাতে জয়লাভও করেছিলেন৷ এর পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ের রাজনীতিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা যতটা আবছা হয়েছে, ততটাই সক্রিয় হয়েছে হামরো পার্টি৷ কিন্তু জিটিএ নির্বাচনে পুরো চিত্রটাই উল্টে গিয়েছে৷ সক্রিয় হয়েছে অনিত থাপার দল৷ হামরো পার্টিকে হারিয়ে দার্জিলিং পুরসভায় আস্থাভোট জিতে গিয়েছে অনীতের ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। ক্ষমতা হারিয়ে জিটিএ-র মতো দার্জিলিং পুরসভাতেও প্রধান বিরোধী এখন অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি।
এর পরেই পাহাড়ের সমীকরণ বদলে তৃণমূল জানায়, তারা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সঙ্গে মিলে পুরবোর্ড গঠন করবে। বুধবারের আস্থাভোটে ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১২ জন কাউন্সিলর হামরো পার্টিকে সমর্থন জানিয়েছে। পাশে দাঁড়িয়েছে গুরুংয়ের দলের ৩ কাউন্সিলরও। কিন্তু, তৃণমূলের ২ কাউন্সিলর এবং প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ১৪ জন কাউন্সিলর মিলে অনীতকে সমর্থন জানানোয় ঘুরে যায় পাহাড়ের খেলা৷ দার্জিলিং পুরসভার দখল নেয় অনীতের দল। এর পরেই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বিনয়।