নিয়োগ প্রক্রিয়ার জট কাটলো উচ্চ মাধ্যমিকের, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার আদালতের

অবশেষে বড়সড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। জট কাটল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। অনেক অভিযোগ অনেক দ্বন্ধের পরে অবশেষে রয়ে গেলো রাজ্য সরকারের তরফে। এবার শিক্ষক নিয়োগের স্থগিতাদেশ তুলে নিল হাইকোর্ট। অবশেষে রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় এবার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যোগ্য আবেদনকারীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারবে রাজ্য সরকার। আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে কমিশনের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের তা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে এসএসসির ভূমিকা সন্তুষ্ট আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশে ধাক্কা খেলেন মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা।

অসঙ্গতি নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ পেয়ে, গত ২ জুলাই আদালত জানিয়েছিল, ৭ দিনের মধ্যে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন-কে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। আদালতে সেই তালিকা জমাও করা হয়। তাতেই শুক্রবার নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হল। যদিও এই ইস্যুতে জটিলতা আপাতত কেটে গেল। কারণ, নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

২০১৬ সালের এসএসসি-তে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের মামলা দায়ের করেন পরীক্ষার্থীরা। সেই মামলার শুনানিতে আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, ইন্টারভিউ তালিকা নতুন করে প্রকাশ করতে হবে। তাতে যেন পরীক্ষার্থীদের নম্বর-সহ নাম থাকে। যাঁরা ইন্টারভিউয়ের যোগ্যতা অর্জন করেননি, তাঁদেরও নম্বর জনাতে হবে। সাতদিনের মধ্যে তা প্রকাশিত হলেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। অন্য দিকে, কোনও অযোগ্য প্রার্থী যদি তালিকা নিয়ে অভিযোগ করেন, সে ক্ষেত্রে কমিশন চাইলে তাঁকে জরিমানা করতে পারে বলেও জানিয়েছে আদালত। গত ৩০ জুন উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ মেনে নিয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যার জেরে আটকে গিয়েছিল প্রায় সাড়ে চোদ্দ হাজার পদে নিয়োগ।