পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী শাহবাজ শরীফের আসল পরিচয় জেনে নিন?

ঝুলে রইল ইমরানের ভাগ্য। অর্থাৎ দুপুর একটা পর্যন্ত স্থগিত পাক অ্যাসেম্বলি অধিবেশন। এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অধিবেশন শুরু হয় তার কিছুক্ষণ পরেই অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছিলেন স্পিকার আসাদ কায়সার। তবে আজকের অধিবেশন মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের নিষ্পত্তি হওয়ার কথা রয়েছে । তার আগেই প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ বলেছেন, তিনিই হচ্ছেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী।

মূলত, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে বিরোধীরা তাদের বিজয় হিসেবে দেখছে এবং শনিবার পার্লামেন্টেও তাদের বিজয় হবে অর্থাৎ ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সরানো যাবে বলেই তারা মনে করছেন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত কোন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। ইমরানের দল ছেড়ে ভিন্ন মতাবলম্বী চলে যাওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনুযায়ী ইমরানের দলের ১৭২ টি আসনের প্রায় এক ডজন আসন কম হয়ে গিয়েছে ।অর্থাৎ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের বিরোধী দলগুলির জোটবদ্ধভাবে ১৬৩ আসন রয়েছে তবে দলছুট এমপিরা অনাস্থা ভোটের মধ্য দিয়ে বিরোধী পক্ষের যোগ দিলে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে এবং সরকার গঠন করতে পারবে।

উল্লেখ্য শাহবাজ শুধুমাত্র পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক নেতা নন, তাঁর আরেকটি পরিচয় রয়েছে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাইও । দেশের বাইরে শাহবাজ ততটা পরিচিত না হলেও দেশের ভেতরে প্রশাসনিক দক্ষতার সুনাম রয়েছে। এছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দুর্নীতিসংক্রান্ত দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে লন্ডনে চলে যাওয়ার পরে তার দল পিএলএমএন পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন শাহবাজ।

প্রসঙ্গত ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফের নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনা অভ্যুত্থানের পর পাকিস্তান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন । এরপর ২০০০ সাল থেকে সৌদি আরবে থাকতে শুরু করেন শাহবাজ এবং ২০০৭ সালে আবার পাকিস্তানে ফিরে আবার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন । অবশেষে ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রদেশের পিএমএল-এন বিজয়ী হওয়ার পর শরীফ দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিন। ও ২০১৩ সালও তিনি দ্বিতীয়বার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।