হাই কোর্টের প্রশ্ন পুরভোটের নজরদারি নিয়ে

অভিযোগ উঠছে পুরভোটের নজরদারি নিয়ে৷ চার পুরনিগমের ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য বিজেপি৷ মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি গৃহীত হয়েছে৷ বিজেপি’র দাবি, ভোট সন্ত্রাস রুখতে রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করা হোক৷ 

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে ১০৮টি পুরসভায় ভোট করা সম্ভব কিনা রাজ্যের কাছে তা জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি এই সকল পুরএলাকাগুলিতে ভোটপর্ব না মেটা পর্যন্ত দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি বন্ধ রাখা যায় কিনা, সে সংক্রান্ত তথ্যও হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত৷ আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷ পাশাপাশি চন্দননগর, বিধাননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ির পুরনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলির সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে চার পুরনিগমের ভোটে অশান্তির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি৷ তাদের দাবি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পুরভোট করতে আদালতের নির্দেশ মান্য করেনি নির্বাচন কমিশন৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভোট করানো হয়নি৷ এর ফলে ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছে৷ এর পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা৷ তাঁদের দাবি, ১০৮ পুরসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে৷ সিসিটিভি অডিট, নিরপেক্ষ জেনারেল অবজার্ভার, নিরপক্ষে মাইক্রো-অবজার্ভর রাখতে হবে৷  সেই সঙ্গে ১০৮ পুরসভায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা৷ এদিন ছিল মামলার শুনানি৷

এদিন আদালত জানতে চায়, বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য?  ২৭ ফেব্রুয়ারি  ১০৮টি পুরসভার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা আছে কি? দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি বন্ধ রাখা সম্ভব কি? রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়।