প্রশ্নও উঠছে তবে কি চলতি মাসে রাহুল একাই যাবেন ইডি দফতরে

চারিদিকে বাড়ছে সংক্রমণ। নতুন করে চিন্তা বাড়ছে বাড়তে থাকা সংক্রমনের সংখ্যা নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে এবার করোনার থাবা গান্ধী পরিবারে, আক্রান্ত একের পর এক সদস্য। কদিন আগেই জানা গিয়েছিল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। হালকা জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকলেও আপাতত সোনিয়া গান্ধী রয়েছেন হোম আইসোলেশনেই। আর এবার করোনা আক্রান্ত হলেন সোনিয়া-কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।

এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানিয়েছেন, ‘আমি করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। শরীরে মৃদু সমস্যা রয়েছে। আপাতত আমি নিজেকেই নিভৃতবাসে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার অনুরোধ এই কয়েকদিন আমার সংস্পর্শে যারা এসেছেন তারা অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিন এবং সেক্ষেত্রে যদি তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাহলে অবশ্যই নিভৃতবাসে চলে যান।’

উল্লেখ্য, সোনিয়া গান্ধীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানাতে সকালেই কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ‘বুধবার সন্ধ্যায় সোনিয়া গান্ধীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে এবং তার শরীরে গুরুতর কোন উপসর্গ নেই। তাই আপাতত সভানেত্রী নিভৃতবাসে রয়েছেন।’

অন্যদিকে গান্ধী পরিবারে যখন হানা দিয়েছে করোনা ঠিক তখনই ইডির নজরে সনিয়া-রাহুল। চলতি সপ্তাহেই জানা গিয়েছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং পুত্র রাহুল গান্ধীকে। গতকাল অর্থাৎ ২ জুন তাঁদের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ইডি দপ্তরে। কিন্তু তার আগেই জানা যায় যে সোনিয়া গান্ধী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধী রয়েছেন বিদেশ সফরে।

মূলত সেই কারণেই হাজিরার দিন পরিবর্তন করে আগামী ১৩ জুন রাহুল গান্ধীকে ইডি দফতরে হাজিরের নির্দেশ দিল এনফর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। প্রসঙ্গত ইডি দপ্তর থেকে নোটিশ পাওয়ার পরেই রাহুল গান্ধী চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন যে, ২ জুন তার পক্ষে হাজরা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এই মুহূর্তে তিনি ভারতে নেই। সেই আবেদন মেনেই আগামী ১৩ তারিখ হাজিরার নতুন তারিখ জারি করেছে ইডি। তবে সেদিন রাহুল গান্ধী একাই ইডি দপ্তরে হাজিরা দেবেন, নাকি তার সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীও যাবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

অন্যদিকে দলীয় সূত্রে খবর করোনার আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত সাতদিন নিভৃতেবাসে থাকতে হবে সোনিয়া গান্ধীকে। এছাড়া বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের শরীর খুব একটা ভালো নেই। আর তাই করোনামুক্ত হওয়ার পরেও আরও বেশ কয়েকদিন বিশ্রামে থাকার পরেই তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। জানা গিয়েছে সোনিয়া গান্ধী সুস্থ হওয়ার পর ইডির কাছে হাজিরা দেওয়ার নতুন তারিখের জন্য আবেদন করা হবে। এনফর্সমেন্ট ডাইরেকটোরেট আধিকারিকরা সোনিয়া গান্ধীকে পরবর্তীতে যে তারিখ দেবেন সেই তারিখেই তাদের দফতরে যাবেন কংগ্রেস সভানেত্রী।