বিগত দু সপ্তাহে হাঁসফাঁস করা গরম ছিল কলকাতায়। নাজেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল কলকাতাবাসীর। এই প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে গরমের ছুটি এগিয়ে এনেছিল রাজ্য সরকার। ২ মে থেকে এই ছুটি পড়েছে এবং আগামী মাস পর্যন্ত চলবে। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম থেকে না-খুশ ছিল একাংশ। প্রথমে বিজেপি থেকে প্রতিবাদ জানান হয়েছিল, পরে অভিভাবকদের একাংশও জানায়। এতদিনে গরমের ছুটির ব্যাখ্যা কেউ পাচ্ছিল না। উপরন্তু যে তাপপ্রবাহের কারণে মূলত ছুটি দেওয়া হয়েছিল তা আর নেই। এখন বৃষ্টি হচ্ছে। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এখন জানা গেল, এই জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের হলফনামা তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্যের গরমের ছুটি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় মঙ্গলবার মামলাকারির পক্ষে আদালতে জানানো হয়েছে, রাজ্যে সরকার, আবহাওয়াবিদ, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে পরামর্শ না করে পর পর দুটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, ২ মে থেকে ৪৫ দিন সমস্ত স্কুলে ছুটি থাকবে। রাজ্যে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান হয়েছে, গ্রীষ্মের দাবদাহে থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিত্রাণ দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে দাবি করা হয় শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকেও। যদিও এদিন রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রোনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটা রাজ্যের শিক্ষা দফতারের বিষয় হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তাঁরা। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধে অসুবিধে দেখার দায়িত্বে রাজ্যের।
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত জানিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ মে। ওই দিনের মধ্যেই রাজ্যের গরমের ছুটির যে মূল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল তার ব্যাখ্যা আদালতে দিতে হবে সরকারকে। ইতিমধ্যে স্কুল শিক্ষকদের একাংশও টানা ৪৫ দিন গরমের ছুটি নিষ্প্রয়োজন বলে মনে করেছে। তারাও চায় রাজ্য সরকার স্কুল খোলার নির্দেশ দিক।