দেশ জুড়ে তান্ডব চলছে করোনা সংক্রমণ এর তৃতীয় ঢেউয়ের। বাড়তে থাকা রাজ্যের করোনা সংক্রমণের সংখ্যাকে রুখতে আপাতত একাধিক বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও বিভিন্ন পরিষেবায় ছাড় দিয়েছে নবান্ন। সম্প্রতি সেলুন, পার্লার, জিম খোলার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও বন্ধ। কোভিড বিধি মেনেও সেটা খোলার উদ্যোগ সরকার এখনও নিচ্ছে না। এই বিষয়ে এখনও কিছু জানান হয়নি। এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে স্কুল-কলেজ খোলার দাবি তোলা হচ্ছে। শিক্ষক সংগঠন থেকে শুরু বিরোধী রাজনৈতিক দল, সবাই এই ইস্যুতে জোর দিচ্ছে। আজই আবার অবিলম্বে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে এসইউসিআই (সি)-র তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
এসইউসিআই (সি)-র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেছেন, রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশে বিয়ে বাড়ি সহ সামাজিক অনুষ্ঠানের জমায়েতের সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০ জন করা হয়েছে। এদিকে, মেলা, যাত্রা, জিম, সিনেমার শুটিং-র অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি দফতরে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি সহ শপিং মল, বাজার কমপ্লেক্স, সিনেমা ও থিয়েটার হল, পানশালা, রেস্তোরাঁ, সেলুন-বিউটি পার্লার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারিই থাকছে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল প্রায় দু’বছর বন্ধ। স্কুলের উচ্চতর শ্রেণিগুলি এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুললেও তা আবার বন্ধ হয়েছে। এর ফলে রাজ্যে শিক্ষার ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে, শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ বাড়ছে, পড়ুয়ারা মানসিক রোগের শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই প্রেক্ষিতেই তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের একটি লোকসভা কেন্দ্রে যদি ৫৩ হাজারের বেশি নাগরিকের টিকাকরণ সম্ভব হয় তাহলে সরকারের সদিচ্ছা থাকলে যে বয়সের পড়ুয়ারা টিকা পেতে পারে তাদের সকলকে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে টিকার ব্যবস্থা করা যায়। এভাবেই খুলতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই রাজ্য সরকারের কাছে তাদের দাবি, টিকাকরণের ব্যবস্থা করে কোভিড বিধি মেনে সমস্ত স্তরেই অতি দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হোক।