এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে দ্বন্দ্ব চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে। করোনা আবহে বিধি নিষেধ মেনে স্বাভাবিক প্রায় সব কিছুই৷ তাহলে স্কুল-কলেজ বন্ধ কেন? এই প্রশ্ন তুলে ক্রমেই জোড়াল হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি৷ শুধু কলকাতা নয়, প্রতিটি জেলায় স্কুল খোলার দাবিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল৷ শুধু নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দল বা ছাত্র সংগঠন নয়, স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে পথে নেমেছেন পড়ুয়া, অভিভাবক, শিক্ষক-অধ্যাপকরাও। তাঁদের একটাই দাবি, অবিলম্বে স্কুল খুলে সশরীরে পঠন-পাঠন শুরু করতে হবে। এবার স্কুল খোলা পক্ষে মত দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শদাতা গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডও।
জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই স্কুল খোলা যেতে পারে বলে জানিয়েছে বোর্ড৷ সমাজের প্রতিটি স্তরে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে স্কুল খোলার দাবি৷ এই বিষয়ে গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার৷ সূত্রের খবর, শনিবার বিভিন্ন মহলের সঙ্গে স্কুল খোলা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা করা হয়েছে৷ এই আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও৷ জানা যাচ্ছে, ওই আলোচনাচক্রে বেশিরভাগই স্কুল খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন।
অ্যাডভাইজারি বোর্ডের পরামর্শদাতা ডা. সুকুমার মুখোপাধ্যায় মনে করেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় ড্রপ-আউটের সংখ্যা বাড়ছে। বহু ছাত্রীকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাড়ছে শিশুশ্রমিকের হার৷ তাই আর সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে স্কুল খুলে দেওয়া উচিত।’ সে ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে স্কুল খোলা হলে, হাতে আর মাত্র দু-সপ্তাহ সময় বাকি থাকবে। এদিকে স্কুলে টিকাকরণও চলছে জোরকদমে৷ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা আরও খানিকটা এগিয়ে যাবে৷ তাছাড়া দৈনিক সংক্রমণের হার আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে৷ ফলে স্কুল খোলা হলে তেমন ভাবে সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন ডা.সুকুমার মুখোপাধ্যায়৷