প্রতিনিয়ত চিন্তা বাড়ছে পেট্রল এবং ডিজেলের দাম নিয়ে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি হাবরাতেও ডিজেলের দাম পার করল ১০০ টাকা। শুক্রবার ডিজেলের দাম ১০০ টাকা ৪৩ পয়সা। আগেই সেঞ্চুরি করেছিল পেট্রল৷ কিছুটা দূরে ছিল ডিজেল৷ তবে শুক্রবার ১০০ পার করলো ডিজেল। যার জেরে, ২২ গজে যে কথা সব সময় প্রচলিত আজ তা পেট্রল পাম্পে গেলে সব সময় শোনা যায়! অন্যদিকে এদিনই কলকাতায় পেট্রলের দাম বেড়ে লিটার প্রতি ১০৮ টাকা ৭৮ পয়সা হয়েছে। আবার ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকা ১৪ পয়সা প্রতি লিটার।
স্বভাবতই দিনে দিনে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়াতে থাকায় বিপাকে সাধারণ মানুষ থেকে গাড়ি চালক, মালিক পক্ষ সকলেই। একে করোনা পরিস্থিতি তার ওপর মানুষের আয় অনেক ক্ষেত্রেই কমেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। অথচ সরকারের কোনও সদর্থক ভূমিকা নেই৷ স্বভাবতই ক্ষুব্ধ দেশের সাধারণ মানুষ৷
গাড়ির চালকদের কথায়, তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে যাত্রী নেই৷ তাই দাম দিয়ে তেল ভরেও কোনও লাভ হচ্ছে না। ফলে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তেলের দাম বেধে দিক সরকার এটাই আবেদন তাঁদের। তার চেয়েও করুণ অবস্থা সাধারণ মানুষে৷ কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে একটি বড় অংশের মানুষের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। করোনার জেরে গত বছর একটানা লকডাউনের ফলে একাধিক ছোট-বড় সংস্থা বন্ধ হয়েছে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সংসার চালাতে বাধ্য হয়েই পেশা বদলেছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে দিনের পর দিন ধরে দাম বেড়েই চলেছে পেট্রোপণ্যের। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে বাজারদরে। অতিমারীর এই আবহে বাজারে যেন আগুন ছুটছে।