রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। উত্তপ্ত পরিস্থিতি, কেষ্টর পর এবার চাপ বাড়ল কেষ্ট কন্যার ওপর৷ গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এবার আরও বড় দাবি করা হল সিবিআইয়ের তরফে। বলা হচ্ছে, শেষ ৯ বছরের মধ্যেই কোটিপতি হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা। এই সময়ে শুধুমাত্র সুকন্যার বার্ষিক আয় দেড় কোটি টাকা হয়েছিল। এমনই দাবি করা হয়েছে সিবিআই চার্জশিটে।
সিবিআই বলছে, এই ৯ বছরের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলও কোটিপতি হয়েছেন মেয়ের মতোই। এমনকি তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রীর বার্ষিক উপার্জন ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে ৫০ লক্ষ টাকা হয়ে গিয়েছিল। গোয়েন্দা সংস্থা অনুমান করছে, গরু পাচারের যাবতীয় টাকা এই তিনজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। তাহলে এই টাকার উৎস কি এনামুল হক, সেই প্রশ্নও কিন্তু থেকে যায়।
সিবিআই এও জানিয়েছে, খাতায়-কলমে সুকন্যা স্কুলের চাকরি করলেও ২০১৩-১৪ সালে অনুব্রত তাঁকে বিভিন্ন সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসিয়েছিলেন যেগুলির আদতে কোনও কাজই ছিল না। অর্থাৎ সেগুলি ছিল ভুয়ো কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলির বার্ষিক ব্যাল্যান্স শিটে কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন দেখানো হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে, অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারই এই কোটি কোটি টাকার ঘুরপথে নিজেদের কাছে নিয়েছে। কখনও ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোসিট করা হয়েছে সুকন্যার নামে, আবার কখনও বোলপুরে কোনও হোম-স্টের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে।