জমি জটে দীর্ঘদিন আটকে থাকা মালদা ও দুই দিনাজপুরকে রেলপথে যুক্ত করা চারটি প্রকল্পের কাজ আদৌ কি চালু হবে? পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের চিঠি সামনে আসতেই এই প্রশ্নই ঘিরে এখন চর্চায় মগ্ন দুই দিনাজপুরের মানুষ। জমি জটে আটকে থাকা পশ্চিমবাংলার একাধিক রেল প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এই তালিকায় রয়েছে কালিয়াগঞ্জ- বুনিয়াদপুর (৩৪ কিমি‚ গাজোল- ইটাহার(২৭ কিমি)‚ ইটাহার- বুনিয়াদপুর ( ২৭ কিমি)‚ রায়গঞ্জ- ইটাহার (২২ কিমি)‚ নতুন রেলপথ প্রকল্প। মালদা ও দুই দিনাজপুরের মধ্যে এই চারটি নতুন রেলপথ প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে ভীষণ উপকৃত হবেন এই তিন জেলার বাসিন্দারা। বিশেষ করে বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর, কুশমন্ডি, হরিরামপুর, ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ও রায়গঞ্জের রেল যোগাযোগ মসৃণ হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে কালিয়াগঞ্জ- বুনিয়াদপুর এবং প্রয়াত রেলমন্ত্রী গনিখান চৌধুরীর সময়ে গাজোল-গুঞ্জরিয়া-ইটাহার- রায়গঞ্জ রেলপথ প্রকল্প নেওয়া হয়। এর মধ্যে কালিয়াগঞ্জ- বুনিয়াদপুর নতুন রেলপথের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছিল। এমনকি কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতী নদী এবং কুশমন্ডির কালিকামরার কাছে বালুরঘাট সড়কের ওপর রেলসেতুর কাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু জমিদাতা পরিবারের এক সদস্যের সরকারি চাকরি এবং উপযুক্ত ক্ষতিপুরণের দাবিতে ২০১২ সালে শুরু হওয়া আন্দোলনের জেরে এই কাজ বন্ধ হয়ে যায়।ইটাহার- বুনিয়াদপুর, গাজোল-ইটাহার এবং রায়গঞ্জ- ইটাহার রেলপথ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ হয়নি। এমত অবস্থায় জমি জট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো রেলমন্ত্রীর চিঠিতে এই রেলপথ প্রকল্পগুলির উল্লেখ থাকায় আশায় বুক বাঁধছেন গৌড়বঙ্গের বাসিন্দারা।