আচমকাই কেঁপে উঠলো কলকাতা

আজ সকালে আচমকাই কেঁপে উঠলো শহর, কিছু জায়গায় বোঝা গেলেও বেশ কিছু জায়াগায় বুঝতে পারেনি মানুষ৷ শুক্রবার তখনও ঘুম ভাঙেনি রাজ্যবাসীর৷ কেঁপে উঠল কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ সহ গোটা উত্তরবঙ্গ৷ ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ভূমিকম্পটি হয়৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১৷ প্রাথমিক ভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি৷ 

উত্তরপূর্বের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশেও৷ বাংলাদেশের  চট্টগ্রাম, ঢাকায় ভূ-কম্পন বোঝা গিয়েছে৷ শুক্রবার ভোর সওয়া ৫টা নাগাদ কলকাতায় ভূ-কম্পন অনুভূত হয়৷ ৩০ সেকেন্ড ছিল কম্পনের স্থায়িত্ব৷ কেন্দ্রীয় মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মিজোরামের থেনজল থেকে ৭৩ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ কিমি গভীরে। থেনজলের অবস্থান চট্টগ্রাম ১৭৪ কিমি পূর্বে। কম্পন অনুভূত হয়েছে অসম এবং ত্রিপুরাতেও৷ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ত্রিপুরার অমরপুর থেকে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ১৮১ কিলোমিটার এবং বেলোনিয়া থেকে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ১৮৮ কিলোমিটার দূরে৷ 

মিজোরামে ভূমিকম্পের প্রভাবে কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়৷ অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, কম্পন অনুভূত হয়েছে। অনেকে আবার জানতে চেয়েছেন, ‘কখন ভূমিকম্প হল?’ উত্তরবঙ্গেও বহু মানুষ কম্পন অনুভব করেছেন৷ কয়েক মুহূর্তের জন্য তাঁরাও কেঁপে উঠেছেন। তবে পশ্চিমবঙ্গে কম্পনের তীব্রতা তেমন জোরালো ছিল না। বরং উৎসস্থল থেকে কাছে হওয়ায় অনেক বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং মেঘালয়ে৷ 

ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ কম্পন অনুভব করেছেন৷ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেটের মতো জায়গা৷ চট্টগ্রামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনি বেশ জোরেই কম্পন অনুভব করেছেন।