অবশেষে অবসান হল সব জল্পনার, নেওয়া হল এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। যার নজির হলো গোটা রাজ্য। বহু টালবাহানার পর চলতি মাসে কদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিকের ফল। এই পরীক্ষার ফল ঘিরে রাজ্যের জেলায় জেলায় বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল। রাজ্যে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিলো আজ পর্যন্ত। অবশেষে এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভের সামনে নতিস্বীকার করে অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদ। রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার সব পরীক্ষার্থীকেই পাস করানো হল। অর্থাৎ এবছর উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার হল ১০০ শতাংশ। সোমবার সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, রাজ্য সরকার ‘মানবিক’। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বিবেচনা করে সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াকে পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ। মানবিকতার খাতিরেই এই সিদ্ধান্ত।
ফল ঘোষণার দিন দেখা গিয়েছে, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার প্রায় ৯৮ শতাংশ। ২% পড়ুয়া অকৃতকার্য হয়েছে। অর্থাৎ সংখ্যার বিচারে প্রায় শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায় ১৮ হাজার ফেল করা ছাত্র ছাত্রীকে নতুন করে পাশ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগেই উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পর বহু জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবি ছিল, মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও ১০০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশ করানো হোক। এই বিষয়ে বোর্ডের কাছে প্রতিদিনই ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত এবার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকেই পাশ করানোর মতো যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল বোর্ড।
মহুয়া আরও জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের ৪০ শতাংশ, একাশের ৬০ শতাংশ এবং প্র্যাক্টিক্যালে প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে, তা আগেই স্কুলগুলিকে জানিয়ে দিয়েছিল সংসদ। সেইমতো স্কুল যা পাঠিয়েছিল, তার ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করে সংসদ। কোথাও কোনও অসঙ্গতি চোখে পড়লে, পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানানোর সুযোগও দেওয়া হয়, যাতে কলেজে ভরতি হতে সমস্যায় না পড়তে হয় পড়ুয়াদের।