চলতে থাকা তদন্তে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত নেতাদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি প্রকাশ্যে এসছে

রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে শুরুটা হলেছিল হেভিওয়েট পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে। এর পর এক এক করে ইডি-সিবিআই-এর জালে ধরা পড়েন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মানিক ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণয়ম গঙ্গোপাধ্যায়, প্রদীপ সিং, প্রসন্ন রায়, চন্দন মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু ভট্টাচার্যের মতো নেতারা৷ তদন্তে মিলেছে তাঁদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ৷

পার্থ চট্টোপাধ্যায়– বিধানসভা ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনের কাছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে হলফনামা দাখিল করেছিলেন, তাতে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৬৩ টাকা। ২০১১ সালে তৃণমূল যখন ক্ষমতায় আসে, তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি ছিল মাত্র ৬৯ লক্ষ টাকা। তবে ইডি যে চার্জশিট দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, সবমিলিয়ে পার্থ এবং অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

মানিক ভট্টাচার্য নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

প্রসন্ন রায় এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে নেমে উঠে আসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নি-জামাই প্রসন্নকুমার রায়ের নাম৷ পার্থর দাক্ষিণ্যে তাঁর সম্পত্তির তালিকাও বেশ দীর্ঘ৷ প্রসন্ন ‘চাকরি বিক্রি’ চক্রের ‘মিডলম্যান’ হিসেবে কাজ করত বলে দাবি সিবিআই-এর৷ রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও নাকি বিপুল সম্পত্তি রয়েছে তাঁর৷

চন্দন মণ্ডল চন্দন মণ্ডলকে জেরা করে ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বিক্রি করে এই টাকা তুলেছিলেন চন্দন।

কুন্তল ঘোষ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হালেই গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ৷ গোপাল দলপতির দাবি, চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে তিনি কুন্তলের কাছে পৌঁছে দিতেন৷ সেই টাকার পরিমাণ ১০০ কোটিও ছুঁয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সাহাদের সম্পত্তিও চোখে পড়ার মতো৷