ধীরে ধীরে সংক্রমণের সংখ্যায় চিন্তা বাড়ছে ওমিক্রন নিয়ে৷ গোটা বিশ্বকে গ্রাস করার পর চুপিসারে ঢুকে পড়েছে ওমিক্রনের সাবস্ট্রেনও৷ ইতিমধ্যেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নয়া রূপ বিএ.২ এর হদিশ মিলেছে ৪০টি দেশে৷ “চোরা ওমিক্রন” কতটা সংক্রামক তা এখনই বলা সম্ভব না হলেও, বিএ.২ কে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল এটি স্ট্রেইন আরটি-পিসিআর টেস্টকেও ফাঁকি দিচ্ছে।
ওমিক্রনের এই নয়া রূপ নিয়ে ইউরোপে ইতিমধ্যেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের তিনটি সাব-স্ট্রেইনের হদিশ মিলেছে৷ এগুলি হল-বিএ.১, বিএ.২ এবং বিএ.৩। তবে এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে বিএ.১ সাব স্ট্রেইনটি৷ ওমিক্রনের বিএ.১ সাব-স্ট্রেইন ডমিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠলেও, বিভিন্ন দেশে ধরা পড়েছে বিএ.২ স্ট্রেনটিও৷
ব্রিটেনে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের নয়া রূপ বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ৪২৬ জনের খোঁজ মিলেছে৷ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে তএই হদিশ মিলেছে৷ উল্লেখ্য, ওমিক্রনের নয়া রূপ প্রথম ধরা পড়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর। লন্ডনে এখনও পর্যন্ত বিএ.২ –এ আক্রান্ত ১৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ এই অবস্থায় ভারতকেও সতর্ক করা হয়েছে৷
কিন্তু কেন আরটিপিসিআর টেস্টে ধরা পড়ছে ওমিক্রনের এই নয়া রূপ? বলা হয়েছে, ওমিক্রমের এই নয়া সাব স্ট্রেইনে স্পাইক নেই৷ তাই সে সহজেই ফাঁকি দিয়ে দিচ্ছে আরটিপিসিআর টেস্টকেও৷ বিএ.১ সাব স্ট্রেই অনেক সময়েই আরটি-পিসিআর টেস্টে ধরা না পড়লেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত করতে এই পরীক্ষাই সবথেকে বেশি কার্যকর। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কমপক্ষে ৩০ বার মিউটেশন হয়েছে৷ তারপরও এটির স্পাইক প্রোটিন আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে৷ তাই এই পরীক্ষা যে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ, তা জোড়ের সঙ্গে বলা চলে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।