স্বস্তি দিয়ে সামান্য কম হলো সংক্রমণের সংখ্যা

দেশের করোনা সংক্রমণের সংখ্যায় ওঠা পড়া লেগেই আছে। বিগত কিছুদিন ধরে বেশ ঊর্ধ্বমুখী ছিল দেশের করোনা সংক্রমণের সংখ্যায়। গত সপ্তাহে লাগামছাড়া হারে সংক্রমণ বৃদ্ধির পর অবশেষে কিছুটা স্বস্তি। পরপর দুইদিন নিম্নমুখী করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গত সপ্তাহে একটানা চার দিন ১৮ হাজারের উপরে উঠেছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। পরে তা কিছুটা কমে ১৬ হাজারের গণ্ডিতে প্রবেশ করে।

কিন্তু আজ তার থেকেও বেশ কিছুটা কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৬১৫ জন। আগের দিন এই সংখ্যাটাই ১৬ হাজারের আশেপাশের ঘোরাফেরা করেছে। অন্যদিকে এদিনও কিছুটা কমেছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা।

কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী গত একদিন দেশে নতুন করে করোনার বলি হয়েছেন আরো ২০ জন। কমেছে সক্রিয়তার হার তথা পজিটিভিটি রেটও। গতকাল অর্থাৎ সোমবার যেখানে দেশে সক্রিয়তার হার ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল মঙ্গলবার সেটাই এক ধাক্কায় কমে ৩.২৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

দৈনিক আক্রান্ত এবং মিথের সংখ্যার নিরিখে মঙ্গলবার ফের প্রথম স্থান দখল করেছে দক্ষিণের রাজ্য কেরল। এই রাজ্যে গত একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৩২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু যেখানে একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৪৮ জন।

অন্যদিকে ১৯১৫ জন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এবং তিনজন দৈনিক মৃতের সংখ্যা নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান বাংলার। তবে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, গুজরাট, ছত্রিশগড়ের মতো একাধিক রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিও কিন্তু এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

তবে দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমার সাথে সাথে এদিন দৈনিক সুস্থতার হারও ফের কিছুটা কমেছে বলে খবর। কেন্দ্রের হিসাব বলতে গত একদিনে দেশে করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র ১৩ হাজার ২৬৫ জন। গতকাল অর্থাৎ সোমবার এই সংখ্যাটাই ১৪ হাজারের উপরে অবস্থান করছিল। এই মুহূর্তে দেশে দৈনিক সুস্থতার হার দাঁড়িয়ে রয়েছে ৯৮.৫ শতাংশে। আগের থেকে যা অনেকটাই কম।