কমেনি করোনাভাইরাসের চোখরাঙানি৷ করোনার দাপটে নাস্তানাবুদ হয়েছে গোটা বিশ্ব৷ এই পরিস্থিতিতে বিগত তিন দিন টানা দেশের কোভিড সংক্রমণ ২০ হাজার পার করল। তাই দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ হওয়াই স্বাভাবিক। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হলেও সবথেকে বেশি চিন্তা আবার বেড়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, বাংলা ও কেরলকে নিয়ে।
কারণ সেখানে করোনা গ্রাফ শেষ কয়েক দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে অনেক রাজ্যে কোভিড বিধি শিথিল করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে নিয়ম লাগু করা হচ্ছে। মাস্কও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এদিকে আবার ‘মাঙ্কিপক্স’ নিয়ে অন্য আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ০৪৪ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রে। একদিনে সে রাজ্যে সংক্রমিত ২ হাজার ৩০০-র বেশি। তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ২ হাজারের বেশি। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের।
আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ১৮ হাজার ৩০১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৫১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৬০। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৬০ জনের।
আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৪৮ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৯৯ কোটি ৭১ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৩৮ ডোজ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ২২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬২৭ ডোজ।
সম্প্রতি আবার কেরলের এক বাসিন্দার শরীরের মাঙ্কিপক্সের একাধিক উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়েছিল। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়। তিনি কিছু দিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ফিরেছিলেন।
এরপরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁর শরীরে মাঙ্কি পক্সের একাধিক উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে জানা যায় যে তিনি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে কেরলে দেশের প্রথম মাঙ্কি পক্স রোগে আক্রান্তের সন্ধান মিলতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার।