ঊর্ধ্বমুখী বঙ্গ করোনা ভাইরাস। কমেনি করোনাভাইরাসের চোখরাঙানি৷ দেশের করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়াবহ। কেন্দ্রের করোনার রিপোর্ট আরও একবার তা প্রমাণ করল। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে মাত্রাছাড়া হারে বাড়তে থাকা করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং সক্রিয় রোগী তথা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করছে।
মূলত এই কারণেই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা হু। এই উদ্বেগ, আশঙ্কার মধ্যেই রবিবার দেশের করোনার দৈনিক আক্রান্ত এবং সক্রিয় রোগের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কার্যত লাফিয়ে বাড়ল দৈনিক মৃতের সংখ্যাও। জানা যাচ্ছে গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ২৫৭ জন।
এই নিয়ে পরপর চার দিন দেশের করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজারের ওপরেই বহাল থাকল। তবে সবথেকে উদ্বেগজনক বিষয়টি হল এদিন রীতিমতো লাফিয়ে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। জানা যাচ্ছে গত একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৪২ জনের। সাম্প্রতিককালে এটাই দেশের সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা।
কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে কেরল। দক্ষিণের এই রাজ্যে গত একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এরপরেই স্থান মহারাষ্ট্রের। এই রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৬০ এবং মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের।
তার ঠিক পরেই রয়েছে আমাদের রাজ্য বাংলা। কেরল এবং মহারাষ্ট্রের পরেই করোনার দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার নিরিখে স্থান পেয়েছে আমাদের রাজ্য। বাংলায় গত একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৬৮ জন, অন্যদিকে এই রাজ্যে গত একদিনে করোনার বলি হয়েছেন আরও তিনজন। বাংলার পাশাপাশি ছত্রিশগড়েও গত একদিনে তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে এ দিন ফের কিছুটা কমেছে দৈনিক সুস্থতার হার। কেন্দ্রের হিসাব বলছে গত একদিন দেশে করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র ১৪৫৫৩ জন। অন্যদিকে ২৪ ঘন্টায় অ্যাকটিভ কেস তথা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও ৩৬৬২ বেড়ে এই মুহূর্তে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস দাঁড়িয়ে রয়েছে এক লক্ষ ২৮ হাজার ৬৯০ তে।
এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার দাঁড়িয়ে রয়েছে ৯৮.৫ শতাংশে। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সংক্রমনের হার তথা পজিটিভিটি রেট এই সপ্তাহে ফের বৃদ্ধি পেয়ে ৪ শতাংশের ঘরে প্রবেশ করেছে। এই মুহূর্তে দেশের সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেটের হার ৪.১ শতাংশ।