ঊর্ধ্বমুখী বঙ্গ করোনা ভাইরাস। এখনও কমেনি করোনাভাইরাসের চোখরাঙানি৷ মাত্র একদিন দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমার পরেই দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের হার দিল ঘোড়ার লাফ। জানা যাচ্ছে গত একদিনে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমনের হার এক ধাক্কায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেন্দ্রের তথ্য জানাচ্ছে, এদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬,১৫৯। গতকাল যেখানে দেশের এই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটিই ১২ হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দেশের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এই রাজ্যের করোনার সংক্রমণ রীতিমতো চিকিৎসকদের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কারণ শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে গত একদিনে করোনার সংক্রমণ তথা দৈনিক আক্রান্তের হার ১০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এই রাজ্যে আবার প্রথম স্থানে অবস্থান করছে বাণিজ্য নগরী মুম্বই। জানা যাচ্ছে রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে শুধু মুম্বইয়ের বাসিন্দাই রয়েছেন শতকরা ৮০ শতাংশ।
অন্যদিকে দেশে এদিন ফের উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। অ্যাক্টিভ কেস তথা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও ৭৩৭ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশজুড়ে করোনার মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ২১২। এদিকে করোনার দৈনিক আক্রান্ত এবং অ্যাক্টিভ কেসের মতোই এদিন বৃদ্ধি পেয়েছে দৈনিক মৃত্যুও।
জানা যাচ্ছে গত একদিনে দেশে করোনার বলি হয়েছেন আরও ২৮ জন। মৃতদের মধ্যে ৬ জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, ৬ জন কেরলের বাসিন্দা, দুজন কর্ণাটকের বাসিন্দা, তিনজন বাংলার বাসিন্দা, তিনজন দিল্লির বাসিন্দা, দুজন গোয়ার বাসিন্দা এবং একজন করে মৃত্যু হয়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুতে।
তবে এদিন একমাত্র স্বস্তির খবর হল গতকাল তো বটেই এমনকি গত সপ্তাহের থেকেও বেশ কিছুটা বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার হার ও সংখ্যা। জানা যাচ্ছে গত একদিন দেশে করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ হাজার ৩৯৪ জন। গোটা দেশে এই মুহূর্তে অ্য়াকটিভ কেসের হার ০.২৬ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৯৮.৫৩ শতাংশ।