প্রতিনিয়ত দেশে চিন্তা বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে। দেশের দৈনিক সংক্রমণ এবং সংক্রমণের হার আগের তুলনায় কমলেও এখনও প্রায় লাগামছাড়া দৈনিক মৃত্যু। আজও আটশোর ওপর এই সংখ্যা যা অবশ্যই দুশ্চিন্তার! তবে দৈনিক সংক্রমণের হার আজ কিছুটা কমেছে তুলনায়। কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও। সব মিলিয়ে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি যে খুব ভাল জায়গায় রয়েছে তা বলার নয়। ওমিক্রন প্রজাতি নিয়েও একটা চাপা আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে, কারণ তার সাব ভ্যারিয়েন্ট অনেক দেশে ছেয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ০৭ হাজারে ৪৭৪ জন। শনিবার যা ছিল এক লক্ষ ২৭ হাজার ৯৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের করোনা সংক্রমণের হার কমে হয়েছে ৭.৪২ শতাংশ। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৮৬৫ জনের। আসলে শুধুমাত্র কেরলেই ৪৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২১ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৩৮ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ০১ হাজার ৯৮৯ জনের। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণের হার। এখন তা ৭.৪২ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৬৯ কোটি ৪৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৯৭ ডোজ, গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৪৫ লক্ষ ১০ হাজার ৭৭০ ডোজ।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাল যে, বিশ্বের প্রায় ৫৭ দেশের ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট। অবশ্যভাবে এটি চূড়ান্ত ভাবনার বিষয়। তারা আরও জানাচ্ছে, ধীরে ধীরে এটিই হয়ে উঠছে সেই সব দেশের ‘ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট’। অর্থাৎ এই প্রজাতির এবার বাড়বাড়ন্ত দেখা দিতে পারে। ওমিক্রনের বিএ.১,বিএ.২ ছাড়াও একাধিক সাব ভ্যারিয়েন্ট যেমন বিএ১.১, বিএ.৩-র খোঁজ মিলেছে। এখন আপাতত বিশ্বের সংক্রমণের ৯৩ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তাই হলফ করে বলা যায় যে এই ভ্যারিয়েন্টগুলির মধ্যে সদ্য খোঁজ মেলা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই এইভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।