বৃদ্ধি পেলো করোনা সংক্রমণে দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা

বিগত কদিনের তুলনায় এবার সামান্য বাড়ল করোনা সংক্রমণে দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। আজ ১২ হাজারের গণ্ডি থেকে নেমেছে দৈনিক আক্রান্ত। তবে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাফে বাড়ল অনেকটা। ১১ হাজারের আশেপাশে রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে একদিনে হঠাৎ অনেকটা মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার উদ্বেগ বেড়েছে! তাই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও যে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৫০ জন। যার মধ্যে কেরলেই আক্রান্ত ৬ হাজার ৬৭৪ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৫৫৫ জনের, যা অনেকটা বেশি আগের তুলনায়। এর মধ্যে ৫৯ জন মারা গিয়েছেন কেরলে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১২ হাজার ৪০৩ জন। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৮৩ জন। অন্যদিকে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৪৫ জন। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩০৮ জন, যা ২৭৪ দিনে সর্বনিম্ন। এদিকে, এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে ১১১ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৩৪ ডোজ, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৫৮ লক্ষের বেশি ডোজ।

এদিকে রয়েছে বড় সুখবর। ভারতে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ৭৭.৮ শতাংশ তা স্বীকার করেছে বিখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিন ল্যানসেট। জানানো হয়েছে, দু’টি কোভ্যাক্সিন টিকা নেওয়ার দু’সপ্তাহ পরে দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর এখন যে এই ভ্যাকসিন নিয়ে আর কোনও রকম বিতর্ক থাকল না তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে। একাধিক ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পেয়ে গেলেও এতদিন পর্যন্ত পাচ্ছিল না ভারতের তৈরি করোনাভাইরাস টিকা, কোভ্যাক্সিন। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে আরও কিছু ব্যাপারে উত্তর চেয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই তথ্য পরীক্ষা করে দেখেই এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।