শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর চলতি বছর করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছিল নভেম্বর মাসে। সেই সময় থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, ঠিক মতো নিয়ম না মানলে হয়তো ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে রাজ্যে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই প্রেক্ষিতে, কিন্তু ইতিমধ্যেই আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে করোনা। জানা গিয়েছে, নদীয়ার কল্যাণীতে একই স্কুলে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে ২৯ পড়ুয়া! আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

নদিয়ার কল্যাণী জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে একসঙ্গে ২৯ পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর অভিভাবক-শিক্ষকদের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর দুই পড়ুয়ার হালকা জ্বর এবং সর্দি-কাশির উপসর্গ ধরা পড়ে। পরে তাদের কোভিড টেস্ট করানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই খবর আসার পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও ঝুঁকি নেয়নি। প্রায় ৩২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে থেকেই মোট ২৯ জনের করোনা ধরা পড়েছে। যদিও অধিকাংশ পড়ুয়া উপসর্গহীন। তবে এখনই স্কুল বন্ধ করার পক্ষপাতি নয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, রাজ্যে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী তারা সিদ্ধান্ত নেবে কিন্তু এই মুহূর্তে স্কুল বন্ধ হবে না।

উল্লেখ্য, এই পড়ুয়ারা ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে ওমিক্রন থেকে বাঁচার উপায় কী? সেই দিশা দিয়েছে এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। মূলত দুটি কাজের কথা বললেন তিনি যা সকলকে মেনে চলতেই হবে। এইমস প্রধানের বক্তব্য, টিকাকরণ এবং করোনাবিধি অনুসরণ করেই ওমিক্রন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস প্রজাতি নিয়ে বিরাট আশঙ্কার কিছু দাবি করা হয়নি। তাই দেশের মানুষকে তাঁর বার্তা, সঠিকভাবে করোনা বিধি মেনে চললেই আপাতত এই প্রজাতি রোধ করা সম্ভব।