একধাক্কায় অনেকটা বাড়ালো দেশের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা

বিগত এক মাসের স্বস্তির পর ফের আবার একবার চিন্তা বাড়ালো দেশের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। দেশের করোনা গ্রাফ নিয়ে চিন্তা অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে ওমিক্রন। বিগত কয়েক দিনে লাফিয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। দুদিন আগে ক্রিসমাস উৎসব পালন করেছে দেশবাসী, তারপর ওমিক্রন গ্রাফ যা দাঁড়িয়েছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। তথ্য বলছে, ভারতে এক দিনে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে করোনার নয়া প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবারের কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলেছে, এই মুহূর্তে দেশে শুধু ওমিক্রন আক্রান্ত ৫৭৮ জন। যার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রাজধানী দিল্লি।

কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজধানীতে এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১৪২ জন, তারপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত ১৪১ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেরল যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় অনেকটাই কম, ৫৭ জন। তারপর গুজরাট, রাজস্থান, তেলেঙ্গানার পর অনেকটাই পেছনে পশ্চিমবঙ্গ। তবে ওমিক্রন রোগীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, এই প্রজাতি থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ওমিক্রন থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫১ জন। রাজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আক্রান্তের নিরিখে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিকাকরণই ওমিক্রন থেকে রক্ষা দিতে সক্ষম। সেই প্রেক্ষিতে তথ্য বলছে, ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৪১ কোটি ৭০ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৫৪ ডোজ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ২৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৮৩ ডোজ।

উল্লেখ্য, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৩১ জন এবং একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৩৩ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৯৭ জনের। এদিকে, দেশে একদিনে ৭ হাজার ১৪১ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৯৫ জন। এদিকে, ১৫ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকা প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নয়া বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানান হয়েছে, ১ তারিখ থেকেই নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন ১৫-১৮ বছর বয়সিরা।