ফের এবার বাড়ছে চিন্তা কোরোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে৷ একলাফে অনেকখানি বেড়ে গেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ ২০ দিন পর দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার পেরিয়ে গেল৷ মঙ্গলবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৫৮। সেই নিরিখে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ শতাংশ বাড়ল সংক্রমণ৷ উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধি৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনারভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৩৮ জন দিল্লিরই৷ মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ১৬৭ জন৷ এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন৷
বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করলেও ভোট থেকে বড়দিন, সবকিছুতেই ভেঙেছে করোনা বিধি৷ তার ফলও মিলতে শুরু করেছে৷ দুর্গাপুজো থেকে জগদ্ধাত্রী, লাগামছাড়া মহোৎসবের পর ঠিক যেমনটা হয়েছিল৷ গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৫০০-র ঘরে ঘোরাফেরা করলেও মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে ফের বাড়ল উদ্বেগ৷ জানা গেল, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে দ্বিগুণ৷ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৭৫২ জন। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি ফের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের গ্রাফ? বর্ষবরণের রাতে উন্মাদনার বশে মহানগরীর বাসিন্দারা শৃঙ্খলা ভেঙে ফের ওমিক্রমকে মহাসমারোহে আমন্ত্রণ জানাতে হামলে পড়বে কিনা, তা নিয়ে এখন থেকেই চিন্তায় চিকিৎসকরা৷ তাঁদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বড়দিনের রাতে পার্ক স্ট্রিটে উপচে পড়া মানুষের ভিড়৷ যে ভাবে কোভিড বিধি ভাঙা হয়েছে, তাতে তাঁরা বিস্মিত৷
তবে করোনা ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন৷ নতুন পর্যায়ে কী ভাবে টিকাকরণের কাজ চলবে তা নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ প্রস্তুতি শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও৷ জানা গিয়েছে, স্কুলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের তালিকা তৈরি করা হবে। কলেজের মতোই স্কুলের কাছাকাছি হাসপাতালগুলিতে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে৷ যে সকল কেন্দ্রে করোনার দুটি টিকাই দেওয়া হচ্ছে, সেখানেও কম বয়সীদের জন্য টিকার ব্যবস্থা থাকবে৷ এদিকে দৈনিক আক্রান্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। তবে তা এখনও ৮০ হাজারের নীচে রয়েছে। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৭ হাজার ২ জন।