সূচনা হয়েছে নতুন সরকারের, এর পরই স্বাধীনতা দিবসের পরেই বিহারে গঠিত হল নতুন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন ৩০ জন বিধায়ক।
তার মধ্যে লালুপ্রসাদের দল আরজেডি থেকে মন্ত্রী হিসেবে জায়গা পেলেন ১৫ জন। সরকারিভাবে গঠিত হলো ‘চাচা-ভাতিজার সরকার’। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে লালু প্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদব উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর ভাই তেজপ্রতাপও আজ বিহারের মন্ত্রী হিসেবে জায়গা পেলেন মন্ত্রিসভায়।
বাকিদের সঙ্গে তিনিও আজ শপথ গ্রহণ করেছেন। তবে আরজেডির পাশাপাশি নবনির্মিত মন্ত্রিসভায় জায়গা কংগ্রেস বিধায়করাও জায়গা পেয়েছেন বলে খবর।
উল্লেখ্য গত সপ্তাহেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দলের কান্ডারী নীতিশ কুমার গেরুয়া শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করায় বিহারের জোট সরকারের পতন হয়েছিল। তার ঠিক পরের দিনই লালু প্রসাদের আরজেডি দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন জোট সরকার গঠন করেন নীতীশ কুমার।
যার মুখ্যমন্ত্রী হন নিতিশ নিজেই এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয় লালপুত্র তেজস্বী যাদবকে। এরপরই মঙ্গলবার বিহারের নতুন মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা শপথ গ্রহণ করলেন। জানা যাচ্ছে নতুন ৩০ জন মন্ত্রীর মধ্যে নীতীশ কুমারের দল আরজেডিইউয়ের ১১ জন বিধায়ক মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন।
অন্যদিকে লালুপ্রসাদের দলের ১৫ জন বিধায়ক মন্ত্রী হয়েছেন এবং বাকি কংগ্রেস থেকে দুজন বিধায়ক মন্ত্রিসভার পদ দখল করেছেন। এছাড়া দলিত এবং মুসলিমদের কথা মাথায় রেখে হাম পার্টি এবং নির্দল বিধায়কদের একজন করে সদস্যকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের দিনেই নিতিশ কুমারকে জোরালো আক্রমণ করেছে বিহার বিজেপি।
রাজ্যের বিজেপি নেতা দীনেশ শর্মা এদিন নীতীশ-তেজস্বী জুটিকে জোরালো ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের কাকা-ভাইপোর মত দশা হবে বিহারের এই জোট সরকারের। এই নতুন জোট সরকারের মাধ্যমেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক জীবনের বানপ্রস্থ পর্ব শুরু হয়েছে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পরেই তাঁকে সন্ন্যাস গ্রহণ করতে হবে।’