নতুন আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স কি বায়ুবাহিত রোগ

প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় অতিক্রমণ করলেও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি ভাবে করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়নি বিশ্ব। করোনা আবহেই এবার মাঙ্কিপক্সের জ্বালা, ঠিক যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। একদিকে যেমন আমাদের দেশসহ একাধিক দেশে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে করনার তাণ্ডব, ঠিক তখনই অন্যদিকে মাঙ্কিপক্সের ভয়ে কার্যত অস্থির অবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের মতো একাধিক দেশের। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা হুয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে শুরু হয়েছে মাঙ্কিপক্সের গোষ্ঠী সংক্রমণ।

তার মধ্যেই এবার সম্প্রতি US সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC)-এর তরফে জানানো হয়েছে, এই ভাইরাস বাতাসের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। তবে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ থাকলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

এই প্রসঙ্গে একটি বিস্তারিত তথ্য দিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল CDC, যেখানে CDC-র প্রধান রোচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, ‘কোনও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেই ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। শুধু তাই নয়, তাঁদের জামাকাপড় থেকেও মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।’ তবে করোনার মতো অধিক বাতাসবাহিত নয় এই রোগ।

এর সঙ্গে এই ভাইরাস প্রসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ কথাবার্তার ফলে বা কোনও দোকানে কোনো আক্রান্তব্যক্তির পাশ কাটিয়ে গেলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় না। সরাসরি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেই মূলত মাঙ্কিপক্স ভাইরাস ছড়ায়। এছাড়াও কোনও ব্যক্তি যৌন রোগ- যেমন সিফিলিস, গনোরিয়া এবং ক্ল্য়ামিডিয়াতে আক্রান্ত হলে তাদের মাঙ্কিপক্সের জন্য পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, বহু মানুষের গায়ে র‌্যাশ দেখা যাচ্ছে বা যৌনাঙ্গে সমস্য়া দেখা দিচ্ছে, পরে দেখা যাচ্ছে তাঁরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে নয়। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়িয়েছে এই ধরনের উদাহরণও রয়েছে বিস্তর। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এই সংক্রামক ভাইরাস নিয়ে ফের বার্তা দেওয়া হয় এদিন।

উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিজ্ঞ মহল। বারে বারে উপসর্গ বদলাচ্ছে এই ভাইরাস। সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) -এর প্রধান রোচেল ওয়ালেনস্কি এদিন আরও বলেন, ‘বর্তমানে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ শরীরের একটি সীমিত অংশে দেখা গিয়েছে। পশ্চিম মধ্য আফ্রিকায় যে ধরনের সংক্রমণ দেখা গেছে, এটা তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।’