বহু টালবাহান পর অবশেষে পুরসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষনা হলো৷ সকালেই কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন, এ নিয়ে বিস্তারিত জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস৷ তিনি জানান, কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হবে৷ ৪,৭৪২টি প্রধান পোলিং বুথ রয়েছে৷ ৩৮৫টি অক্সিলিয়ারি বুথেও ভোট গ্রহণ হবে৷ কলকাতা পুরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৪০ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৫২৷
আজ থেকেই জারি হয়ে গেল আদর্শ আচরণ বিধি৷ পাশাপাশি আজ থেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা৷ ১ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ৷ স্ক্রুটিনির শেষ তারিখ ২ ডিসেম্বর৷ ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন৷ ১৯ তারিখ হবে কলকাতা পুরসভার ভোট৷ ভোট হবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত৷ কোনও রিপোল হলে, তা হবে ২০ ডিসেম্বর৷ ২২ তারিখের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে৷ সম্ভবত ২১ ডিসেম্বর ভোট গণনা৷ ভোট গণনার দিন আগামী কাল-পরশুর মধ্যেই ঘোষণা করা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার৷ করোনা বিধি মেনেই হবে ভোট গ্রহণ৷
২৫ নভেম্বর থেকেই ১ ডিসম্বরের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে৷ রবিবার ও ছুটির দিন বারে বাকি দিনগুলিতে সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে৷ নির্বাচন কমিশনার আরও জানানা, পুরভোট হবে ইভিএম-এ৷
হাওড়ার পুর নির্বাচনের দিন নিয়ে কমিশন বৈঠকে কিছু জানায়নি। চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘সাধারণত রাজ্য এবং কমিশন যৌথ ভাবেই নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্য কিছু জানায়নি। রাজ্য সরকার জানালেই হাওড়া পুর ভোটেরও দিন ঘোষণা করবে কমিশন।
সৌরভ দাস জানান, ডিজি, মুখ্য সচিব, সিপি-র সঙ্গে নিরাপত্তার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে৷ কত বাহিনী মোতায়েন হবে সে সম্পর্কে পরে জানানো হবে৷ ডিজি এবং সিপি মিলিত ভাবে নিরাপত্তার বিষয়ে পরিকল্পনা করে কমিশনকে জানাবে৷ নির্বাচন কমিনার বলেন, কত পুলিশ মোতায়েন করতে হবে তা ডিজি-সিপি’কে জানাতে বলেছি৷ করোনা আবহে প্রচারেও থাকছে বিধি নিষেধ৷ বলা হয়েছে সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনও বড় মিটিং-মিছিল করা যাবে না৷ পোল শেষ হওয়ার ৭২ ঘণ্টা আগে সাইলেন্স জোন হবে৷ ছোট ছোট সমাবেশের উপরেই জোড় দেওয়া হচ্ছে৷ বড় মিটিং হলে বড় জায়গায় করতে হবে৷ এই বিষয়ে জেলা শাসক এবং পুলিশ অফিসাররা নজর রাখবেন৷