কদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি ভোট পর্বের আগেই ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে ছিলেন তিনি। আবারও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন কামারহাটির বিধায়ক। নারদ মামলায় গ্রেফতারের পর থেকেই অসুস্থ মদন মিত্র। এসএসকেএম হাসপাতালের বিলাসবহুল উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে তাঁর। জেলে যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জানা যাচ্ছে, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে একটি টিউমার ধরা পড়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মদন মিত্রকে কয়েকটি এক্সেসাইজ করার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চলবে স্পিচ থেরাপিও। টিউমারটি কতটা ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে তা জানতে পরবর্তী পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের অনুমান, ভোটের প্রচারে গলার উপর অত্যাধিক চাপ পড়ার কারণেই এমনটা হয়েছে।
উডবার্নে ভর্তি থাকা তিন নেতা-মন্ত্রীর মধ্যে মদন মিত্রের শারীরিক অবস্থা সবথেকে গুরুতর ছিল, হাসপাতাল সূত্রে খবর এমনটাই। ভোটপর্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মদন। তার পর সুস্থ হয়ে উঠলেও, শরীর দুর্বলই ছিল। নারদ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার পর, ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মদন মিত্রের ফুসফুসে ক্ষত ধরা পড়েছে।
গত ১৭ মে নারদ মামলায় চার্জশিট পেশের দিনে ৪ নেতা-মন্ত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। নিম্ন আদালতে প্রত্যেকে জামিন পেলেও, হাইকোর্টে তা স্থগিত হয়ে যায়। যত দিন না পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিচ্ছে, তত দিন ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে তাঁদের গৃহবন্দি থাকতে হবে।