বন্ধে স্বাভাবিকই থাকলো মহানগরী

রাজ্যে সদ্য মাত্র হওয়া ভোট নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে আজ বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সকাল ৬ টা থেকে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাংলার ভোটে লাগামছাড়া হিংসা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তার প্রতিবাদেই এই বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে তারা। কিন্তু এই বনধের সেভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি কলকাতায়। তবে একাধিক জেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে বিজেপি। এদিকে রাস্তায় নেমে বনধের বিরোধিতা করছে শাসক শিবির।

বিজেপি ডাকা বাংলা বনধে কলকাতার যান চলাচল স্বাভাবিক। সময়মতোই চালু হয়েছে মেট্রো। হাওড়া এবং সংলগ্ন এলাকাতেও বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি সেভাবে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। চলছে সরকারি ও বেসরকারি বাস। যদিও কিঞ্চিৎ উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন জেলায়। যেমন হুগলিতে ট্রেন আটকে দেয় বনধ সমর্থকরা। হুগলির স্টেশনে ডাউন বর্ধমান লোকাল আটকে দেয় তারা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যান্ডেল রেল পুলিশ এসে অবরোধ সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে। পরে হুগলি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে বিক্ষোভ করে বিজেপি। বনধের কিছুটা প্রভাব পড়েছে কোচবিহার শহরে। বেসরকারি পরিবহন পথে দেখা না গেলেও সরকারি পরিবহন রাস্তায় নেমেছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে মাঝে সরকারি বাস আটকানোয় কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায়।

এই বনধ নিয়ে ইতিমধ্যে কড়া নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, দোকান, বাজার, কারখানা সবই যেন রোজের নিয়মে চলে। অন্যদিকে রাজ্য অর্থ দফতর জানিয়েছে, বনধের দিন অফিস করতেই হবে। অর্ধ দিবস ছুটিও নেওয়া যাবে না। আবার রবিবার যাদের ছুটি ছিল তাদের আজ অফিস করতেই হবে। এই নির্দেশ অমান্য করলে এক দিনের বেতন কেটে নেওয়া হবে। তবে এও নিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে কিংবা আগে থেকে যাঁরা নির্দিষ্ট কারণে ছুটি নিয়ে রেখেছেন এদিন, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।