আসন্ন ভোটে বাদ গেলো লকেটের নাম

দূরত্ব বাড়ছে নিজ দলের মধ্যে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে টালমাটাল অবস্থা শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপি শিবিরে। বর্তমানে অবস্থা যেন আরও খারাপ হয়েছে তাদের। একাধিক নেতা ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছে, দল ছেড়ে জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। পাশপাশি বিক্ষুব্ধ নেতাদের তালিকায় রয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসুরা। এই আবহে আরও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে বিজেপি শিবির। সামনেই উপনির্বাচন, কিন্তু তার প্রচারক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন শমীক ভট্টাচার্য, লকেটের মতো নেতারা। এই ঘটনা বঙ্গ বিজেপির ফাটল হয়তো আরও স্পষ্ট করে দিল।

আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোল এবং বালিগঞ্জে উপনির্বাচন রয়েছে। সূত্রের খবর, এই ভোটের প্রেক্ষিতে বিজেপি যে তারকা প্রচারকের তালিকা তৈরি করেছে তাতে নেই লকেট চট্টোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য। তবে বাইরে থেকে আনা হচ্ছে প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর, অভিনেতা রবি কিষানকে। এছাড়াও আসার কথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলার নেতাদের বাদ দেওয়া হল তার উত্তর নেই খোদ ওই নেতাদের কাছেই। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের ওপর হয়তো সম্পূর্ণ ভরসা করতে পারছে না বঙ্গ বিজেপি। কারণ, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কিছুদিন আগে জয়প্রকাশের সঙ্গে বৈঠকে দেখা গিয়েছিল লকেটকে। তাই হয়তো তাদের নিয়ে এই মুহূর্তে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। তাই উপনির্বাচনে বিজেপির ৪০ জনের প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ তারা।

আসন্ন নির্বাচনের জন্য সব দল প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রার্থী ঘোষণা করেই। প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে অন্য দলের তুলনায় বিজেপি প্রচারকদের নিয়েই চর্চা বেশি। উল্লেখ্য, ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তৃণমূলের প্রার্থীরা হলেন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা, বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপি ভরসা রেখেছে অগ্নিমিত্রা পল এবং কেয়া ঘোষের ওপর।