রাজ্যের দীর্ঘতম জয়ী সেতু এলাকা ভরপুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে

কদিকে পরিবেশ দূষণ, অন্যদিকে বিপদের আশঙ্কা। এই দুই থেকে বাঁচতে জয়ী সেতু থেকে নিরাপদ দূরত্বে পিকনিক স্পট তৈরির দাবি জানালেন মেখলিগঞ্জবাসী।মেখলিগঞ্জ শহর থেকে মিনিট দশেকের দূরত্বে অবস্থিত জয়ী সেতু । পুজোর মরশুম প্রায় শেষ। নভেম্বর মাসের শেষ থেকে শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করে। সেইসময় জয়ী সেতুকে কেন্দ্র করে পিকনিকপ্রেমীদের ভিড় দেখা যায়। ছুটির দিনগুলোতে এই প্রবণতা বাড়ে। পিকনিক করতে এসে মানুষজন তিস্তা নদীর তীরে যত্রতত্র আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখেন। আবার কখনও সেতুর নীচেই গ্যাস সিলিন্ডার লাগিয়ে রান্না করতে শুরু করে দেন। তাই চলতি বছর পিকনিকের মরশুম শুরুর আগে নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েত সেতু সংলগ্ন এলাকায় নিরাপদ দূরত্বে পিকনিক স্পট তৈরি করুক, দাবি স্থানীয়দের।

এলাকাবাসী রত্নাদিত্য দত্ত বলেন, ‘রাজ্যের দীর্ঘতম সেতু জয়ী সংলগ্ন এলাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। সে কারণে স্বাভাবিকভাবে মানুষ সেখানে সময় কাটানোর জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। সেটা খুব ভালো বিষয়। কিন্তু কয়েকজন অসচেতন নাগরিকের জন্য বিপদের ঝুঁকি থাকছে। জয়ী সেতুর কোনও ক্ষতি হলে মেখলিগঞ্জ মহকুমার মানুষ যোগাযোগের দিক থেকে সমস্যায় পড়বেন। জয়ী সেতু সংলগ্ন এলাকা যেহেতু নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়ে, তাই তাদের উচিত, এখানে পিকনিক স্পটের ব্যবস্থা করা।

মেখলিগঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা সুশান্ত বর্মন বলেন, ‘সেতু সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে ছোট ছোট ছাউনি দেওয়া ঘর নির্মাণ করলে, সেখানে ত্রিপল পেতে মানুষ রান্না বা খাওয়াদাওয়া করতে পারবেন। এতে তাঁদের ছুটে বেড়াতে হবে না, আয়ও হবে। এই ব্যাপারটা খুব তাড়াতাড়ি দেখা উচিত।’স্থানীয় প্রশাসনের তরফে অবশ্য দাবিটি দেখার কথা বলা হয়েছে। নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গীতা অধিকারী বলেন, ‘এটা খুব ভালো প্রস্তাব। তবে পিকনিক স্পট তৈরি করতে গেলে প্রথমেই ফান্ডের ব্যাপারটা রয়েছে। এই বিষয়ে বিডিও’র সঙ্গে আলোচনা করব।’