চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে চলছে দুর্নীতি, রাজ্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠছে বারংবার৷ এসএসসি-র গ্রুপ ডি’ নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি গিয়েছে ৫৭৩ জনের৷ সেই বেআইনি নিয়োগ বাতিলের রায়কি চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি। আগামী সোমবাল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই দিনই একটি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি৷ উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে ৫৭৩ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে গেল অনুসন্ধান কমিটি।
গত ৯ তারিখ, এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় সিদ্ধান্ত নেয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। চতুর্থ শ্রেণির ৫৭৩ জন কর্মীর নিয়োগ বাতিল করে দেন তিনি৷ এমনকী, তিনি তাঁর রায়ে জানান, অবৈধ নিয়োগের জন্য সরকারের যত টাকা খরচ হয়েছে, সেই টাকা এবং তাঁদের দেওয়া বেতনের অর্থ পুনরুদ্ধার করতে হবে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই নির্দেশকে চ্যালঞ্জ করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মধ্যশিক্ষাপর্ষদ এবং রাজ্য সরকার।
ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেয়৷ এর বদলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি জানিয়ে কমিটি আরও ৪ মাস সময় চায়। কিন্তু আদালত জানায় ৪ মাস সময় দেওয়া সম্ভব নয়৷ বদলে জানায়, ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট পেশ করতে হবে৷ কিন্তু তার আগেই ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷