মামলা চলাকালীন হাইকোর্ট চত্বরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে দায়ের হয়েছিল মামলা। এই মামলার শুনানি হল বৃহত্তর বেঞ্চে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার এবং তাঁর এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ, বয়কটের মামলার ইস্যুর শুনানিতে এজলাসের বাইরে কী ঘটনা ঘটেছিল তার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। এই ফুটেজ দেখেই যারা ১৩ নম্বর এজলাস চলতে বাধা দিয়েছিল তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের নাম বৃহত্তর বেঞ্চে জমা দিতে হবে।
এই বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল, হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, হাইকোর্ট বার লাইব্রেরী, ইনকর্পোরেট ল সোসাইটি এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলকে এজলাসের ভিডিও ফুটেজের কপি জমা দেবে। তারাই এই ফুটেজ দেখে বাধাদানকারীদের শনাক্ত করবে। এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিভাগ্নামন বলেন, ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে কারা করেছে।
অন্যদিকে এও জানা গিয়েছে যে, কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিচারপতি মান্থার বাড়িতে পোষ্টার নিয়ে রিপোর্ট জমা করেছেন বৃহত্তর বেঞ্চে। কিন্তু কমিশনারের রিপোর্টে খুশি নয় বৃহত্তর বেঞ্চে। পোস্টার কোন প্রেসে ছাপা হয়েছে, কে ওই পোষ্টারের বরাত দিয়েছে, সেই বিষয় জানাতে সময় চাওয়ায় অসন্তুষ্ট বেঞ্চ। এই ইস্যুতে আইনজীবী শামীম আহমেদ জানান, ১৩ নম্বর এজলাসে সরকারি আইনজীবী অংশ নিলে তাঁকে প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।