আচমকাই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটায় বন্ধ হলো কেদারনাথ যাত্রা

বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ কালে বন্ধ করা হয়েছিল সব কিছু। ক্রমাগত সংক্রমন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আবার খুলতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে করোনাকালে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর চলতি বছরেরই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন অর্থাৎ ৩ মে খুলেছিল চারধামের দরজা। পরপর দু’বছর চারধাম দর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার পর চলতি বছরেই তীর্থযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল দর্শনার্থীদের। কিন্তু যাত্রা শুরুর পর থেকেই একের পর এক অঘটন। প্রথমে তীর্থযাত্রায় অস্বাভাবিক হারে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাওয়া, আর এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ। জানা যাচ্ছে, কেদারনাথ যাওয়ার পথে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। আর তার জেরেই দুর্ঘটনা এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কেদারনাথ যাত্রা। এমনকি ওই পার্বত্য এলাকায় জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতাও।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে রুদ্রপ্রয়াগের CO প্রমোদকুমার জানিয়েছেন, ‘পায়ে হেঁটে যেসব পুণ্যার্থী কেদারনাথে উঠছিলেন তাঁদের ইতিমধ্যেই মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া কেদারনাথে উঠবেন বলে গুপ্তকাশিতে এসে পৌঁছেছেন এমন পাঁচ হাজার পুন্যার্থীকে সেখানেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত কেউই কেদারনাথ দর্শন করতে পারবেন না।’ স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার থেকেই একটু একটু করে হঠাৎই খারাপ হতে শুরু করে কেদারনাথের আবহাওয়া। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি এবং তার কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয় প্রবল তুষারপাত।

ফলে এলাকার তাপমাত্রা চড়চড়িয়ে নামতে থাকে। এমতাবস্থায় যে কোনও সময় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করে সঙ্গেসঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হয় তীর্থযাত্রা। যে সমস্ত পুণ্যার্থীরা মাঝরাস্তায় আটকে পড়েন তাঁদের উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। আপাতত প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আবহাওয়া যতদিন পর্যন্ত ঠিক না হচ্ছে ততদিন এই তীর্থযাত্রা বন্ধ থাকবে। বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাত সম্পূর্ণভাবে থামলে তবেই পুণ্যার্থীরা ফের কেদারনাথে ওঠার অনুমতি পাবেন।