তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় কোন তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে রায় দিলেন বিচারক

সম্প্রতি মহানগরীর বুকে এক উত্তাল পরিস্তিতির সৃষ্টি হয়েছে আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায়। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করেছিল শিয়ালদহ আদালত। বিচারক তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে এই রায়।

বিচারক দাস নিজের রায়ে জানিয়েছেন, সঞ্জয় রায়কে মোট ১০৪টি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরে সহমত হলেও ধর্ষণ খুন সংক্রান্ত প্রশ্নে এই প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ার কোনও জবাব দেননি। বিচারক আরও লিখেছেন, সঞ্জয় কেন তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ খুন করলেন তার কোনও স্পষ্ট কারণ নেই। আরজি করের নিহত তরুণী চিকিৎসক এবং সঞ্জয় রায় আগে থেকে একে অপরকে চিনতেন না।

ফলে এই ধর্ষণ খুনের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত, এই তত্ত্ব খাটে না। বিচারক নিজের রায়ে লিখেছেন, অতীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে উদ্দেশ্যহীনভাবে অপরাধ করেছেন অপরাধী। এই যুক্তির সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্টের বেশ কিছু রায় ও পর্যবেক্ষণের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।