বিগত দু বছর ধরে গোটা দেশে তান্ডব চালিয়েছে করোনা সংক্রমণ। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারীর দাপট শুরু হওয়ার পর পিএম কেয়ার্স ফান্ড গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রথম বছরেই ওই তহবিলে জমা পড়ে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা৷ পিএম কেয়ার্স ফান্ডের ওয়েবসাইটে একটি অডিট স্টেটমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে৷ সেখানেই উঠে এসেছে এই তথ্য৷ জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রথম ১২ মাসে এই তহবিলে জমা পড়েছে মোট ১০ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে ৩৯৬৭ কোটি বা মোট তহবিলের ৩৬.১৭ শতাংশ টাকা বিভিন্ন ত্রাণ ও প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
কোভিড সংক্রমণের মতো জরুরি অবস্থায় (প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাইরে) অনুদান সংগ্রহের জন্য এই তহবিলটি শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর পদাধিকারবলে এই তহবিলের চেয়ারপারসন হন স্বয়ং মোদী। উল্লেখ্য বিষয় হল এই তহবিলের সমস্ত অনুদান সম্পূর্ণরূপে আয়করের আওতা মুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়৷ কিন্তু পিএম কেয়ার্সে কত উপার্জন হল তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা৷ এবার প্রকাশিত হল অডিট রিপোর্ট৷ এই রিপোর্ট অনুযায়ী, পিএম কেয়ার্স গঠনের প্রথম বছরের উপার্জন ১০ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা৷ তহবিলে অব্যবহৃত অর্থের পরিমাণ ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকা৷
তহবিল থেকে যে যে খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তার মধ্যে সর্বাধিক খরচ হয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন ডোজ সংগ্রহে। টিকা কেনার জন্য খরচ হয়েছে ১,৩৯২ কোটি (৩৫%) টাকা। এই টাকায় কোভিড টিকার ৬৬ মিলিয়ন ডোজ কেনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ১,৩১১ কোটি (৩৩%) ব্যয়ে কেনা হয়েছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ভেন্টিলেটর৷ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়ছে ১০০০ কোটি টাকা৷ এছাড়াও ২০১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ১৬২টি প্রেসার সুইং অ্যাবসর্পশন (PSA) মেডিক্যাল অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট ইনস্টল করার কাজে৷ পাশাপাশি নয়টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৬টি RT-PCR টেস্টিং ল্যাব ও মুজাফফরপুর এবং পাটনায় দুটি ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল গড়তে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা৷ বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধীনে দুটি স্বশাসিত ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরিকে ২০ কোটি টাকা দান করে হয়৷