বহু প্রতিক্ষার পর চলতি শপথের শুরু থেকেই শীতের ব্যাটিং শুরু৷ মাঘের বাঘা শীত বেশ ভালোই টের পাচ্ছে বঙ্গবাসী৷ ঝঞ্ঝা বিদায় নিতেই হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে উত্তুরে হাওয়া৷ তবে সেই সুখ বেশি দিনের নয়৷ আর মাত্র চার দিন! এর পরেই বিদায় নেবে শীত৷ আগমন ঘটবে বসন্তর৷ ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে বসন্ত রাজ৷ এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস৷
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে বারবার ব্যাঘাত ঘটেছে শীতের ইনিংসে৷ এমনকী পৌষ পার্বনের দিনেও উধাও হয়েছে শীত৷ শীতের কনকনানি ছাড়াই পিঠে-পুলি খেয়েছে বাংলার মানুষ৷ এই বছর বিদায় নেওয়ার আগে শেষ ইনিংস খেলছে শীত৷ ছক্কা হাঁকিয়েই বিদায় নেবে ঠান্ডা৷ শুক্রবার আরও কমেছে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা৷
বৃহস্পতিবারের চেয়ে এদিন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি কমেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শুক্র থেকে সোম, জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে বঙ্গে। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে৷ শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ যা স্বাভাবিক। এই ক’দিন আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে বড় মাপের পারদ পতনের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যাতে পারে৷ দক্ষিণবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিত এবং উত্তরবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে পূর্বাভাস৷ তবে কলকাতায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডা অনুভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে৷ এদিকে,হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ফেব্রুয়ারির প্রথমে৷ ফলে সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷