এই মুহূর্তের সব চেয়ে বড়ো চাঞ্চল্যকর ঘটনা। কড়া নিরাপত্তার মাঝেও আচমকাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এক অগ্যেত আগন্তুক৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সকলের চোখের আড়ালে গোপনে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি। কখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়লেন তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তাঁর ঢুকে পড়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে রবিবার সকালে।
কী ভাবে সকলের নজর এড়িয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়লেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এরই মধ্যে জানা গেল, ওই আগুন্তুক সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন একটি লোহার রড! সেই রড হাতে নিয়েই প্রায় সাত ঘণ্টা তিনি লুকিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার ঘরের ঠিক উল্টো দিকে।
কোনও কারণে মুখ্যমন্ত্রী রাতের বেলা দরজা খুলে বাইরে বেরলে ওই আগন্তুকের সামনেও পড়ে যেতে পারতেন! সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কী হত, সেটা ভেবেই শঙ্কিত অনেকে। এদিকে পুলিশি জেরায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়া হাফিজুল মোল্লা (৩১) নামে ওই যুবকের দাবি, তিনি নাকি লালবাজার ভেবে ভুল করে পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে।
শনিবার রাত তখন ১টা ২০ হবে, সকলের নজর এড়িয়ে হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়েন হাসনাবাদের বাসিন্দা হাফিজুল মোল্লা৷ রবিবার সকালে নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে আসতেই তাঁকে গ্রেফতার করে কালীঘাট থানার পুলিশ৷ আগামী ৭ দিন অর্থাৎ ১১ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
প্রাথমিক জেরায় হাফিজুল জানুয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িকে তিনি কলকাতা পুলিশের সদর দফতর বলে ভুল করেছিলেন৷ লালবাজার ভেবেই নাকি সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু গভীর রাতে ঠিক কী কারণে তার লালবাজারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ল তাঁর? এর যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি হাফিজুল৷ এমনটাই জানিয়েছে
হাফিজুল মোল্লা নামে ওই যুবক প্রথমে পুলিশের কাছে জানান, তিনি পেশায় ফল বিক্রেতা৷ পরে জানান তিনি পণ্যবাহী গাড়ির চালাক৷ করে৷ পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই যুবক মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন৷ হাফিজুলের বাবাও ছেলের মানসিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন৷
তবে শনিবার রাতে কালীঘাটে পৌঁছনোর আগে তিনি ঠিক কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে পুলিশকে দেখে পালানোর চেষ্টাও করেছিল হাফিজুল। সেই সময় তল্লাশি করতে গিয়ে তাঁর জামার ভিতর থেকে লোহার রড বেরিয়ে আসে। যদিও কী কারণে তা সঙ্গে ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।