বেসরকারি বাসের অত্যাধিক ভাড়া বাড়ায় কড়া নির্দেশ হাই কোর্টের

করোনা সংক্রমণের আবহে বন্ধ ছিলো মহানগরীর যান চলাচল৷ ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমায় চালু হয়েছে যান চলাচল৷ কিন্তু রাজ্যের মিনিবাস ও বেসরকারি বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কেন? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাই কোর্ট৷ বাস ভাড়ার ক্ষেত্রে রাজ্যে কী নিয়ম রয়েছে, কোনও তালিকা মেনে ভাড়া নেওয়া হয় নাকি ইচ্ছা মতো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, পরিবহণ দফতরের সচিবকে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। এমনই নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ৷

প্রসঙ্গত, বাস ভাড়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী প্রত্যুষ পাটোয়ারি। তাঁর দাবি, কোভিড পরবর্তী সময়ে রাজ্যে বেসরকারি বাসগুলিতে নির্দিষ্ট কোনও ভাড়া নীতি নেই। কোনও কোনও রুটে তো আবার দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ২০১৮ সালের পরিবহণ আইন ভেঙে বাস চালানো হচ্ছে৷ তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেন, পরিবহণ দফতর যেন ভাড়া নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা জানায়৷ কারণ বাসে কোনও ভাড়ার তালিকা না থাকায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের।

এদিন অবশ্য রাজ্যের পক্ষ থেকে মামলা খারিজের আবেদন জানানো হয়৷ রাজ্যের যুক্তি, কোনও বাসের রুট, সময়সূচি এবং ভাড়া সবটাই ঠিক করেন পরিবহণের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ (আরটিও)। এই বিষয়ে পরিবহণ দফতরের হস্তক্ষেপ নেই। অথচ অথচ এই মামলায় ওই কর্তৃপক্ষদের যুক্ত করা হয়নি। তাই মামলাটি বাতিল করা হোক। যদিও রাজ্যের যুক্তি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, আপনাদের বক্তব্য অনুযায়ী আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ ভাড়া ঠিক করে৷ কিন্তু এতে পরিবহণ দফতরের সচিবের কতটা ক্ষমতা রয়েছে? তিনি কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারেন না? এ বিষয়ে তাঁর কোনও ক্ষমতা না থাকলে আদালত হস্তক্ষেপ করবে।