করোনা মহামারীর পর থেকে দিনের পর দিন, প্রতি নিয়ত মহানগরীর বুকে বেড়ে চলছে বাস ভাড়া৷ বাড়তে থাকা এই বাস ভাড়া বৃদ্ধির ইস্যু নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।
সেই মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে জরিমানা করল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
মিনিবাস ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে হলফনামা চাওয়ার পরও কেন সময় মতো দিতে পারেনি পরিবহণ দফতর? তাদের কাছে কি পর্যাপ্ত তথ্য নেই? এই প্রশ্ন তুলল আদালত। রাজ্যকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মূলত তিনটি বিষয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথমত, ভাড়ার তালিকা সব বাসে লাগানো রয়েছে কিনা। দ্বিতীয়ত, সরকারের বেঁধে দেওয়া বা নির্ধারিত ভাড়া বেসরকারি বাসগুলো নিচ্ছে কিনা।
তৃতীয়ত, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, নিশ্চিত করতে হবে কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু সময় মতো এই রিপোর্ট আদালতে দেওয়া হয়নি বলেই জানান হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই জরিমানা হয়েছে রাজ্য সরকারের।
অন্যদিকে আরও একটি অভিযোগ উঠে আসছে। পশ্চিমবঙ্গ মোটর ভেহিকেল আইনের (১৯৮৯) ১৭৫ রুল অনুযায়ী, যাত্রীদের অভিযোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও বেশির ভাগ বাসে কমপ্লেন বুক নেই বলে অভিযোগ।
আসলে কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল যে রাজ্যের মিনিবাস ও বেসরকারি বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
বাস ভাড়ার ক্ষেত্রে রাজ্যে কী নিয়ম রয়েছে, কোনও তালিকা মেনে ভাড়া নেওয়া হয় নাকি ইচ্ছা মতো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, পরিবহণ দফতরের সচিবকে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, এমন নির্দেশ আগে দিয়েছিল আদালত।