উত্তাপ বাড়ছে ইউক্রেনে

কম বেশি হলেও অবিরাম গতিতে চলছে যুদ্ধ। তবে এইমুহুর্তে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং চেরনিহিভ থেকে সেনা তৎপরতা কমাচ্ছে রাশিয়া। এমনই জানা গিয়েছে। এই খবরে যেন সাময়িক স্বস্তি ফিরেছিল আন্তর্জাতিক মহলেও। কিন্তু বিষয় হল, সেনা তৎপরতা কম হলেও যুদ্ধ কিন্তু থেমে থাকবে না। কারণ রাশিয়া কোনও ভাবেই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেনি। অর্থাৎ, যুদ্ধের যে উত্তাপ তা বজায় থাকছেই ইউক্রেনে। রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তেও পুরোপুরি স্বস্তি পাচ্ছে না জেলেনস্কি বাহিনী।  

ইস্তানবুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কূটনীতিকদের আলোচনা ছিল। সেই বৈঠকের পরেই সেনা তৎপরতা কমানো হবে এমন ঘোষণা করে ক্রেমলিন। এতেই অনেকের ধারণা হয়েছিল যে এবার হয়তো যুদ্ধ থেকে সরে আসবে রাশিয়া ধীরে ধীরে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে পুতিন বাহিনী স্পষ্ট করেছে যে, সেনা কিছুটা কমানো হলেও যুদ্ধ জারি থাকবে। ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তির সময় এখনও আসেনি। ইউক্রেনের আংশিক জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের অর্থ এই নয় যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। রাশিয়ার তরফ থেকে জানান হয়েছে, বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে, আরও আলোচনার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে যে যুদ্ধ থামছে না সেটা স্পষ্ট করে দেওয়াই হয়েছে।

এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হাতে লেখা একটি চিঠি নিয়ে ক্রেমলিন পৌঁছন অনুমোদিত শান্তিদূত রোমান আব্রামোভিচ৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই চিঠিটি পড়ার পরেই পুতিন নাকি বলে ওঠেন, ‘‘জেলেনস্তকিকে বলে দিও, আমি ওদের গুঁড়িয়ে দেব৷’’ তবে এই খবরের কিছুক্ষণ পরেই জানা যায়, ইউক্রেনে সেনা তৎপরতা কমাচ্ছে পুতিন বাহিনী!