সোমবার সকালে উদ্ধার হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র উত্তম মার্ডির ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটে মালদহের গাজলের কচুয়া গ্রামে। পরিবারের দাবি, সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের ‘শিকার’ হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন উত্তম।ঘটনায় মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন ,“অভিযোগ পেলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মালদহ কলেজ থেকে ইতিহাসে প্রথম বিভাগে স্নাতক উত্তম ৩ অক্টোবর শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে যান। ৭ অক্টোবর হোস্টেল ছেড়ে জেঠার বাড়িতে ফেরেন সে। জোনাসের দাবি, “উত্তমের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু র্যাগিংয়ে ছাত্র-মৃত্যুর অভিযোগ ওঠায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।’’ তাঁর বক্তব্য, সেখানকারও হোস্টেলে উত্তমকে র্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। যদিও তিনি এই নিয়ে সবিস্তার কিছু পরিবারকে জানাননি বলেই পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সিনিয়র ছাত্রদের রামকৃষ্ণ হোস্টেলের পিছনে বিদ্যাসাগর হোস্টেল,আর সেখানেই থাকতেন উত্তম। ৬ অক্টোবর থেকে হোস্টেলে তাঁকে দেখা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। এ দিন ঘটনার খবর পৌঁছতে পড়ুয়ারা কেউ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি। এবং হোস্টেলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ মানতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার ইউনিটের সভাপতি তথা ‘টিএমসিপি’ নেতা অয়ন মহান্তি।