খারিজ হলো দায়ের করা মামলা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের অপসারণ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী রামপ্রসাদ সরকার৷ শুক্রবার তাঁর দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এদিন মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, এই মামলা ভিত্তিহীন। তাই তা খারিজ করা হল। অন্যদিকে, রাজ্যপালের তরফে সওয়াল করার সময় সলিসিটর জেনারেল যে দাবি তুলেছিলেন, সেটিও খারিজ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে গত সপ্তাহেই কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ৷ এর আগে রমাপ্রসাদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা করার আর্জি জানিয়েছিলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা৷ ১৪ ফেব্রুয়ারি রায়দান স্থগিত রেখেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ তবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলে, রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণযোগ্য নয়৷
আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের দাবি ছিল, রাজ্যপাল সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন৷ তাঁর আচরণ রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের মতো৷ যিনি রাজ্যপাল পদে বসেন তাঁর একটা আলাদা ওজন রয়েছে, পদের গৌরব রয়েছে। এটি একটি সম্মানীয় পদ রাজ্যপাল। যিনিই এই আসনে বসেন তাঁর গাম্ভীর্য, ঔদার্য এক কথায় যাকে বলা যায় ‘ডিগনিটি’, তা আলাদাই হওয়া উচিৎ। এমনকী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এই মামলার পার্টি করেন আইনজীবী৷
তাঁর কথায়, রাজ্যপালের পদ নিরপেক্ষ৷ অথচ এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে তিনি রাজ্যের কাজে বাধা দিচ্ছেন। তাই অবিলম্বে রাজ্যপালকে সরানোর হোক। তবে রাজ্যপালকে যেহেতু সরাসরি কোনও মামলার পক্ষ করা যায় না। তাই পরোক্ষভাবে তাঁকে মামলার পক্ষ করা হয়েছিল। এদিন দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর মামলাটি ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব৷ উল্লেখ্য, রাজ্যপালকে সরানোর দাবিতে সংসদে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল৷ এই মর্মে স্বতন্ত্র একটি প্রস্তাবও আনা হয়েছে৷ ১৭০ ধারায় রাজ্যসভায় সেই প্রস্তাব আনেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনিই রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক। আবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলে রাজ্যপালকে সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।