পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুরুও হলো অনুষ্ঠান৷ শুরু হল বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন৷ বিশ্ববাংলা কনভেনশন কেন্দ্রে ২০ এবং ২১ এপ্রিল বসবে বিজিবিএসের আসর। প্রথমে ঠিক ছিল এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ পরে অবশ্য আমন্ত্রণ পান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ আমন্ত্রণপত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নাম থাকলেও, নাম নেই নমোর৷ ১৯টি দেশ থেকে মোট ২৫০ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন বাংলার বাণিজ্য সম্মেলনে৷
এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্যপালের মুখে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগের প্রশংসা৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে রাজ্যপাল বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা এগোচ্ছে। আশা করি এই বাণিজ্য সম্মেলন আগামীদিনে উন্নয়নের পথ দেখাবে। মোদীজির লুক ইস্ট নীতি মেনে এগিয়ে চলবে পশ্চিম বাংলা। তিনি বলেন, বাংলা পূর্ব ভারতের ইকনমিক হাব। মানব সম্পদেও এগিয়ে রয়েছে বাংলা৷ বাংলা ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির কেন্দ্রও বটে। বাংলা বুদ্ধি ও শিক্ষার পীঠস্থান। গত বছর কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে৷ বাংলায় বহু মহাপুরুষের জন্ম হয়েছে। বাংলার সংস্কৃতির কথা সবার জানা। ‘বাংলা আজ যা ভাববে, আগামী দিনে তা ভাববে ভারত৷’
রাজ্যপাল আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক মানচিত্র বদলে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখে বাংলা। বাংলায় বিনিয়োগ করলে শিল্পপতিদের লাভবান হবেন। প্রধানমন্ত্রীও তাই মনে করেন। আশা করা যায় বাংলা আগামীদিনে আরও উন্নত হবে। এই বাণিজ্য সম্মেলন পথ দেখাবে।’ সেই সঙ্গে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শও দেন তিনি৷ রাজ্যপালের কথায়, যৌথভাবে কাজ করলেই বাংলার উন্নতি হবে। বিজিবিএসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ধনকড়ের বক্তব্য, রাজনীতি এবং উন্নয়ন পৃথক রাখা উচিত।
প্রসঙ্গত, এদিন বিজিবিএসে যোগ দেবেন বিদেশি প্রতিনিধিরাও৷ এর মধ্যে রয়েছেন ৪৯ জন ব্রিটেনের প্রতিনিধি। রয়েছেন আদানি, আজিম প্রেমজি, নীরঞ্জন হীরা নন্দানি, হর্ষ নেওটিয়া, জিন্দল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কারা।