খুশির খবর এলো বরিস পরিবারে

এলো খুশির খবর। আবার নতুন অতিথির আগমন ঘটলো তার জীবনে। পূবেই শোনা গিয়েছিল এই সুখবর, যে আরো একবার বাবা চলেছেন প্রধান মন্ত্রী। এই নিয়ে সপ্তমবার, পিতৃত্বের স্বাদ উপভোগ করলেন ব্রিটিশ প্রথানমন্ত্রী বরিস জনসন। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে তাই খুশিতে মাতোয়ারা সকলে। বরিস জনসনের স্ত্রী ক্যারি একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। লন্ডনের এক হাসপাতালে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে। জনসনের এক মুখপাত্রের থেকে জানা গেছে, মা ও শিশু বর্তমানে দুজনেই সুস্থ আছে।

জনসন এবং ক্যারি সন্তান প্রসবের পর ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মেটার্নিটি টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলে সূত্রের তরফ থেকে জানা গেছে। ৫৭ বছর বয়সে কন্যা সন্তানের পিতা হয়ে খুবই খুশি ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী। গত বছর এপ্রিল মাসে জনসন-ক্যারির প্রথম সন্তান এক পুত্রের জন্ম হয়েছিল। পুত্রের নাম তারা রেখেছিলেন উইলফ্রেড। এবছর ডিসেম্বরে উইলফ্রেড তার বোনকে পায়।

ক্যারি, জনসনের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী। এই বছরই মে মাসে তাদের বিবাহ হয়। এর আগে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ম্যারিনা হুইলারের চারটি সন্তান আছে। ম্যারিনা পেশায় আইনজীবী। জনসন-ক্যারির প্রথম সন্তান যখন গতবছর এপ্রিলে জন্মায় তখন জনসন করোনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই সময় দুজন চিকিৎসকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে জনসন করোনামুক্ত হন। তাই জনসন খুশি হয়ে তাঁর ও ক্যারির প্রথম সন্তানের নাম ওই চিকিৎসকদের নামে রাখেন। নাম দেন উইলফ্রেড লরি নিকোলাস জনসন।

জনসনের প্রথম স্ত্রী আলেগ্রা মসটিনের কোনো সন্তান হয়নি। তারপর জনসন, আইনজীবী ম্যারিনা হুইলারকে বিবাহ করেন। তাদের চারটি সন্তান আছে। এরপর এবছর জনসন, ক্যারিকে বিবাহ করেন। এদের দুটি সন্তান। যদিও ২০০৯ সালে চিকিৎসক হেলেন ম্যাকিনটায়ারের সঙ্গে বরিসের এক সম্পর্ক তৈরি হয়। তাদের এক সন্তান হয়। সব মিলিয়ে ব্রিটিশ প্রথানমন্ত্রীর ৭ সন্তান।