এই মুহূর্তে বলিউডের সব চেয়ে চর্চিত খবর হলো বাদশা পুত্রের মাদক মামলা৷ আরিয়ান খান মাদক মামলায় একের পর এক বিতর্কের জট৷ মঙ্গলবার মুম্বই কোর্টে শাহরুখ-পুত্রের জামিনের শুনানির আগেই আরও একপ্রস্থ নাটক ঘটে গেল এই মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে ঘিরে৷ জানা গিয়েছে তিনি নাকি উত্তরপ্রদেশে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন এবং আত্মসমর্পন করতে চেয়েছেন৷ একটি ভিডিয়ো বার্তায় এমনটাই জানা গিয়েছে৷
গোসাভির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি হওয়ার পরেই একটি অডিও বার্তা ভাইরাল হয়৷ সেখানে নিজেকে গোসাভি পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিকে কথা বলতে শোনা যায় মাদিয়াঁও থানার পুলিশের সঙ্গে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা কি মাদিয়াঁও পুলিশ থানা?’ থানা থেকে বলা হয় হ্যাঁ৷ এর পরেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার নাম কিরণ গোসাভি। আমি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করতে চাই।’ কিন্তু কেন এই থানায় আসতে চান তিনি? প্রশ্ন শুনে ওই ব্যক্তি বলেন, এটাই তাঁর সবচেয়ে নিকটবর্তী থানা৷’’ কিন্তু থানা থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় এখানে তিনি আত্মসমর্পন করতে পারবেন না৷ উল্লেখ্য গোসাভি নিজে পেশায় প্রাইভেট ডিটেক্টিভ৷
এদিকে গোসাভি জানান, মহারাষ্ট্রের বাইরে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করতে প্রস্তুত৷ সেই মতো তিনি মারিয়াও থানায় আত্মসমর্পণ করতে পৌঁছান৷ কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে অস্বীকার করে৷ লখনউ পুলিশ এই মামলায় জুরিসডিকশন দেখায়৷ গোসাভি আরও বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে৷ পুরোটাই বানানো গল্প। প্রতি মুহূর্তে তদন্তের দিশা বদলে যাচ্ছে। আমাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে আমার জন্য আরিয়ান গ্রেফতার হয়েছে। আমাকে ফোনের উপর ফোন করা হয়েছে।’
মুম্বই থেকে গোয়া গামী বিলাসবহুল প্রমোদতরী থেকে আরিয়ানকে গ্রেফতার করার পর তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছিল কিরণ গোসাভিকে৷ তাঁর বক্তব্য, ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি মুম্বইতেই ছিলেন। এর পর ফোন বন্ধ করে শহর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। উল্লেখ্য, গোসাভির সঙ্গেই এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনেছিলেন প্রভাকর সেইল৷ তিনি আবার গোসাভির প্রাক্তন দেহরক্ষী বলে দাবি করেছেন৷ যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন গোসাভি৷ জানিয়েছেন, সমীরকে শুধু ছবিতেই দেখেছেন তিনি।